অন্ধ্রের কাঁকিনাড়ায় ল্যান্ডফল করবে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’, বাংলায় জারি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ইতিমধ্যেই জারি হয়েছে একাধিক সতর্কতা।

author-image
Atreyee Chowdhury Sanyal
New Update
cyclone rain

File Picture

নিজস্ব সংবাদদাতা: অবশেষে স্পষ্ট হল ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’-র গতিপথ। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর থেকে শক্তি সঞ্চয় করে এটি অন্ধ্রপ্রদেশের কাঁকিনাড়ায় ল্যান্ডফল করবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বুধবার ভোরের মধ্যে কলিঙ্গপত্তনম থেকে মছলিপত্তনমের মাঝে কাঁকিনাড়া সংলগ্ন পালেম বা আমলাপুরম উপকূল দিয়ে স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে এই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। ল্যান্ডফলের সময় ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় পৌঁছতে পারে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ইতিমধ্যেই জারি হয়েছে একাধিক সতর্কতা। বাংলার মৎস্যজীবীদের ২৮ অক্টোবর থেকে সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। যাঁরা ইতিমধ্যেই মাছ ধরতে গিয়েছেন, তাঁদের অবিলম্বে উপকূলে ফিরে আসার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।

cyclone

আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষত উপকূলবর্তী জেলাগুলি— পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরে বৃষ্টিপাতের মাত্রা থাকবে সর্বাধিক।

অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে বুধবার থেকে মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং জলপাইগুড়িতে দমকা হাওয়া ও মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারও উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।

আবহবিদদের মতে, “ঘূর্ণিঝড় মন্থা মূলত অন্ধ্র উপকূলে আছড়ে পড়লেও তার পার্শ্বপ্রভাব থেকে রেহাই পাবে না বাংলা”। ফলে, দক্ষিণবঙ্গের আকাশে ফের কালো মেঘে ঢাকা পড়বে উৎসবের পরের সপ্তাহও।