“বাবা নেতা মানেই ছেলে লড়তে পারবে না? আইন নয়, ভোটার সিদ্ধান্ত নেবে”— রশিদ আলভি

শশী থারুরের সাম্প্রতিক প্রবন্ধকে কেন্দ্র করে রাজনীতিতে বংশানুক্রম বিতর্ক শুরু হয়েছে। কংগ্রেস নেতা রশিদ আলভির বক্তব্য, গণতন্ত্রে ভোটারই ঠিক করেন কে প্রার্থী হবেন। “বাবা এমপি ছিলেন বলে প্রার্থী হওয়া যাবে না, এ নিয়ম হতে পারে না।”

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
rashid alvi

নিজস্ব সংবাদদাতা: রাজনীতিতে বংশানুক্রম বা ‘ডাইনাস্টি’ ইস্যু নিয়ে নতুন করে উত্তাল রাজনৈতিক মহল। কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরের সাম্প্রতিক প্রবন্ধ ঘিরে যখন নানা প্রশ্ন উঠছে, তখন স্পষ্ট জবাব দিলেন কংগ্রেস নেতা রশিদ আলভি। তাঁর কথায়, গণতন্ত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন জনগণ, কোনও নিয়ম বানিয়ে সন্তানের পথ থামানো যায় না।

আলভি বলেন, “গণতন্ত্রে সিদ্ধান্ত নেয় জনতা। আপনি বলতে পারেন না— আপনার বাবা এমপি ছিলেন, তাই আপনি ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না। এটা অসম্ভব।” তাঁর দাবি, শুধু রাজনীতি নয়, দেশের প্রায় সব ক্ষেত্রেই পরিবার থেকে পরের প্রজন্ম উঠে আসে— সিনেমা, খেলাধুলো, ব্যবসা— সর্বত্রই একই চিত্র। আলভির প্রশ্ন, “শিল্পে, খেলায়, সমাজের এত ক্ষেত্রে এটা গ্রহণযোগ্য, তাহলে রাজনীতিতে কেন আলাদা নিয়ম হবে?”

shashi tharoor.jpg

রশিদ আলভির মতে, প্রতিযোগিতা থাকবে, ভোটার বিচার করবেন। তাঁর মন্তব্য— “যদি মানুষ চান, তারা ভোট দেবেন। না চাইলে হারাবেন। গণতন্ত্রের বিচার এভাবেই চলে। কোনও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার প্রশ্নই ওঠে না।”

থারুরের লেখার পর বংশরাজনীতি নিয়ে ফের তপ্ত ভারতীয় রাজনীতি। বিরোধীরা যেখানে বারবার কংগ্রেসকে পরিবারতন্ত্রের দল বলে আক্রমণ করেছেন, সেখানে কংগ্রেসের পাল্টা দাবি— জনগণের রায়ই গণতন্ত্রের আসল শক্তি।

এখন নজর, এই বিতর্ক ভোটের রাজনীতিতে আরও নতুন সমীকরণ তৈরি করে কি না।