ঘরছাড়া মানুষের হাহাকার, তবুও উৎসব! মণিপুরে বিস্ফোরক পরিস্থিতি

মণিপুরের ইম্ফল ইস্টে সঙাই উৎসব বয়কটকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লেন IDP–রা এবং COCOMI–র সদস্যরা। পুনর্বাসনের দাবিতে উত্তাল হয় পরিস্থিতি।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
breaking new 2

নিজস্ব সংবাদদাতা: মণিপুরের ইম্ফল ইস্টে শুক্রবার উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে সঙাই উৎসব বয়কটকে কেন্দ্র করে। এদিন পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বহু অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত মানুষ (IDPs) এবং COCOMI— অর্থাৎ মণিপুরের অখণ্ডতা রক্ষার সমন্বয় কমিটির সদস্যরা। শুরুতে বিক্ষোভকারীরা সঙাই উৎসব বন্ধের দাবিতে রাস্তায় নামেন। তাঁদের অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত যেসব পরিবার সংঘর্ষের জেরে ঘরছাড়া হয়ে পড়েছেন, তাঁদের পুনর্বাসনের কোনও উদ্যোগই নেয়নি প্রশাসন। উৎসব আয়োজনের আগে মানুষের ঘরে ফেরার বন্দোবস্ত করা হোক— এমন দাবি তুলেই শুরু হয় বিক্ষোভ।

ঘটনার সময় পুলিশ বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে এগোতেই পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দুই পক্ষের ধাক্কাধাক্কি থেকে শুরু হয় খণ্ডযুদ্ধ। ইম্ফল ইস্টের কয়েকটি এলাকায় উদ্ভুত পরিস্থিতি সামাল দিতে অতিরিক্ত পুলিশবল মোতায়েন করা হয়। বিক্ষোভকারীদের দাবি, যতদিন না ঘরছাড়া হাজারো মানুষকে নিরাপদ পুনর্বাসন দেওয়া হচ্ছে, ততদিন কোনও উৎসব হওয়া উচিত নয়। মানুষের যন্ত্রণাকে উপেক্ষা করে উৎসবে কোটি কোটি টাকা খরচের তীব্র বিরোধিতা করছেন তাঁরা।

manipur

অন্যদিকে প্রশাসন দাবি করেছে, শান্তি রক্ষার স্বার্থেই পুলিশ হস্তক্ষেপ করেছে। উৎসব আয়োজনে কোনও বিঘ্ন ঘটলে রাজ্যের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে এবং পর্যটনেও প্রভাব পড়বে— এমন যুক্তি জানাচ্ছে সরকারি মহল। তবে মানুষের ক্ষোভ থামছে না। বহু বাস্তুচ্যুত পরিবার এখনও শিবিরে অনিশ্চিত জীবন কাটাচ্ছেন। সঙাই উৎসবের আগে তাঁদের পুনর্বাসন নিয়ে কোনও স্পষ্ট রূপরেখা না থাকায় অসন্তোষ আরও দানা বাঁধছে।

সঙাই উৎসবকে ঘিরে রাজ্যে এমন সংঘর্ষ নতুন নয়, কিন্তু এবারের উত্তেজনা অনেক বেশি বলে মনে করছে স্থানীয় মহল। পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, তা এখন রাজ্যের নিরাপত্তা ও বিক্ষোভকারীদের অবস্থানের উপরই নির্ভর করছে।