পাকিস্তান, চিন, শ্রীলঙ্কায় চলে যান! বিরোধীদের আক্রমণ BJP সাংসদের

ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের মধ্যে অচলাবস্থার মধ্যে এখন পর্যন্ত ছয় দিন অতিবাহিত হয়েছে। বিরোধী দলগুলি মণিপুর সহিংসতা এবং বিতর্কিত ভাইরাল ভিডিও নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিবৃতি দাবি করছে।

author-image
SWETA MITRA
New Update
oppo.jpg

   

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বিস্ফোরক মন্তব্য করে শিরোনামে উঠে এলেন বিজেপি সাংসদ রবি কিষাণ (Ravi Kishan)। তিনি বিরোধীদের পাকিস্তান, চিন, শ্রীলঙ্কায় চলে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। মণিপুরসফররতI.N.D.I.A জোটেরএকটিপ্রতিনিধিদলসম্পর্কেবিজেপিসাংসদরবিকিষাণবলেছেন, "বিরোধীরাযেখানেইচ্ছাসেখানেযেতেপারে।  তাদেরপাকিস্তান, শ্রীলঙ্কাএবংচিনেচলে যাওয়াউচিৎ।"

আজসংসদেরবর্ষাকালীনঅধিবেশনেরসপ্তমদিন।ক্ষমতাসীনদলবিরোধীদলেরমধ্যেঅচলাবস্থারমধ্যেএখনপর্যন্তছয়দিনঅতিবাহিতহয়েছে।বিরোধীদলগুলিমণিপুরসহিংসতাএবংবিতর্কিতভাইরালভিডিওনিয়েপ্রধানমন্ত্রীমোদীরবিবৃতিদাবিকরছে।এইকারণেইমণিপুরইস্যুএবংলোকসভায়অনাস্থাপ্রস্তাবনিয়েবৃহস্পতিবারদিনভরসরকারবিরোধীসাংসদদেরমধ্যেহট্টগোলহয়।

এদিকে তীব্র হই হট্টগোলের জেরে আজ দুপুর ১২টা অবধি স্থগিত হয়ে যায় লোকসভার অধিবেশন। এদিকে কংগ্রেস নেতা মণিকম ঠাকুর বলেন, "আমরা চেয়েছিলাম প্রধানমন্ত্রী মণিপুর সফর করুন। যা তিনি করছেন না।  আমাদের একটি বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে মণিপুরে একটি প্রতিনিধি দল যাবে।  আগামীকাল সংসদ সদস্যদের একটি প্রতিনিধি দল রওনা হবে। আজ সন্ধ্যায় ওই নেতাদের নাম প্রকাশ করা হবে। মণিপুরের মানুষের যন্ত্রণা কমানোই হল এই প্রতিনিধি দলের মূল উদ্দেশ্য।“

জুলাই শেষ হতে চলেছে, কিন্তু মে মাসে শুরু হওয়া মণিপুরের আগুন পুরোপুরি শান্ত হয়নি। কবে অশান্তির আগুন নিভবে সেটাও ভালোভাবে বলা যাচ্ছে না। ইম্ফল উপত্যকা থেকে প্রায় আড়াই হাজার কিলোমিটার দূরে রাজধানী দিল্লির রাজনৈতিক করিডোরেও এই বিক্ষোভের প্রতিধ্বনি শোনা যাচ্ছে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এই রাজ্যে আগুন লাগার মূল কারণ মেইতেই ও কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে চলমান সংঘাত বলে মনে করা হচ্ছে।

বলা হচ্ছে, মণিপুরে অশান্তির তিনটি কারণ থাকতে পারে। প্রথমত, ২০২১ সালে মায়ানমারের অভ্যুত্থান, যার পর সেখানকার মানুষ মণিপুরে চলে আসে এবং জঙ্গলে নতুন নতুন গ্রাম গড়ে ওঠে। দ্বিতীয়ত, রাজ্য সরকারের উচিত মন্ত্রিসভার অনুমোদন ছাড়াই রাজস্ব গ্রাম ঘোষণা করা। তৃতীয়ত, হাইকোর্টের রায়ে মেইতেইকে তফসিলি উপজাতির অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা হয়েছে।

এদিকে রাজস্ব গ্রামগুলির ঘোষণা মেইতেই সম্প্রদায়ের মানুষকে ক্ষুব্ধ করেছিল। একই সঙ্গে মেইতেইকে এসটি স্ট্যাটাস দেওয়ার কথা শুনে রেগে যায় কুকি সম্প্রদায়। মণিপুরে জমি বরাদ্দ একটি স্পর্শকাতর বিষয়।