বাংলায় কী প্রভাব? বঙ্গোপসাগরে শক্তি বাড়াচ্ছে নিম্নচাপ

দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং শ্রীলঙ্কা সংলগ্ন সমুদ্র এলাকায় তৈরি হওয়া নিম্নচাপ আগামী দিনে আরও শক্তি সঞ্চয় করতে পারে বলে জানিয়েছে IMD। তীব্র বাতাস, উত্তাল সাগর এবং বাড়তি মেঘমালা নিয়ে আবহাওয়া দফতর সতর্কতা জারি করেছে।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
Cyclone

নিজস্ব সংবাদদাতা:  দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও শ্রীলঙ্কার দক্ষিণাঞ্চল–সংলগ্ন সমুদ্র এলাকায় তৈরি হওয়া নিম্নচাপ আরও জোরদার হচ্ছে বলে জানিয়েছে India Meteorological Department (IMD)। আবহাওয়া দফতরের মতে, এই নিম্নচাপ এলাকা আপাতত স্থায়ীভাবে সক্রিয় রয়েছে এবং আগামী ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমদিকে অগ্রসর হয়ে আরও শক্তি সঞ্চয় করতে পারে। এরপর পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় এর গতি হবে পশ্চিম-উত্তরপশ্চিমমুখী।

এই সিস্টেমটির সঙ্গে রয়েছে বিস্তৃত নিম্ন ও মধ্যম স্তরের মেঘমালা, যার মধ্যে তীব্র বজ্র-বিদ্যুৎসহ বৃষ্টি সৃষ্টির ক্ষমতা রয়েছে। প্রভাব পড়ছে দক্ষিণ-পশ্চিম ও পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর, তামিলনাড়ু উপকূল, আন্ধ্র উপকূল, শ্রীলঙ্কার পশ্চিমাংশ, কেন্দ্রীয় বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন ইকুয়েটোরিয়াল ভারত মহাসাগরে।

Cyclone

IMD জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় বায়ুচাপ প্রায় 1006 hPa এবং বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ২০–২৫ নট, দমকা হাওয়া ৩৫ নট পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। এর ফলে আন্দমান সাগর, মালাক্কা প্রণালী, নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ সংলগ্ন এলাকা, মালয়েশিয়া এবং পশ্চিম ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডের আশপাশের সমুদ্র অঞ্চল ‘রাফ টু ভেরি রাফ’ অবস্থায় রয়েছে। সমুদ্রে নৌযান, মৎস্যজীবী এবং ছোট নৌকা চলাচল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া দফতর।

বঙ্গোপসাগর ঘিরে এই নিম্নচাপের গতিবিধি নজরে রেখে আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পরিস্থিতি আরও ঘনীভূত হলে উপকূলবর্তী রাজ্যগুলিতে আবহাওয়ার দ্রুত পরিবর্তন দেখা দিতে পারে। তবে এখনই আতঙ্ক নয়, সাবধানতা জরুরি— এমনই বার্তা বিশেষজ্ঞদের।