বঙ্গোপসাগরে রক্তচক্ষু ‘মন্থা’! ঘুরে গেল বিশাখাপত্তনমের দিকে

বিশাখাপত্তনম থেকে প্রায় ৬৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়টি।

author-image
Atreyee Chowdhury Sanyal
New Update
cyclone

File Picture

নিজস্ব সংবাদদাতা: উৎসবের আবহের মাঝেই বঙ্গোপসাগরে ফের রক্তচক্ষু দেখাচ্ছে প্রকৃতি। তৈরি হয়েছে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’, যার প্রভাবে ইতিমধ্যেই চিন্তায় পড়েছেন কৃষক থেকে মৎস্যজীবী—সকলেই। মৌসম ভবনের সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামিকাল, মঙ্গলবার অন্ধ্রপ্রদেশের কাঁকিনাড়ায় ল্যান্ডফল করবে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’। 

আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে বিশাখাপত্তনম থেকে প্রায় ৬৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়টি। আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে এটি শক্তি সঞ্চয় করে উপকূলের আরও কাছাকাছি পৌঁছে যাবে। মঙ্গলবার বিকেল বা রাতে অন্ধ্রপ্রদেশের কাঁকিনাড়া উপকূল দিয়ে প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ১১০ কিলোমিটার বেগে স্থলভাগে প্রবেশ করবে মন্থা। এরপর তা ওড়িশা ও ছত্তিশগড়ের দিকেও অগ্রসর হবে বলে পূর্বাভাস।

যদিও ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রীয় প্রভাব সরাসরি পশ্চিমবঙ্গে পড়বে না, তবু জগদ্ধাত্রী পুজোর সময় রাজ্যজুড়ে বৃষ্টির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বজ্রপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে। ইতিমধ্যেই উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে হলুদ সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন।

Cyclone

মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে না যাওয়ার কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ থেকেই উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে নিষেধ করা হয়েছে। ২৮ অক্টোবর থেকে বাংলার উপকূলীয় এলাকায় মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়াও নিষিদ্ধ। যারা ইতিমধ্যেই গভীর সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছেন, তাদের ২৭ তারিখের মধ্যেই উপকূলে ফিরে আসতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আবহবিদদের মতে, ঘূর্ণিঝড়ের ফলে উপকূলীয় জেলাগুলিতে পাকা ধান, আলু, ডাল ও শীতকালীন ফসলের বড় ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। তাই কৃষকদের ক্ষেত থেকে পাকা ফসল দ্রুত কেটে ফেলার পরামর্শ দিয়েছে মৌসম ভবন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘূর্ণিঝড় মন্থা যদি অল্প দিক পরিবর্তন করে উত্তরে বাঁক নেয়, তাহলে দক্ষিণবঙ্গেও ঝোড়ো হাওয়া ও ভারী বৃষ্টির পরিমাণ অনেকটাই বাড়তে পারে।