/anm-bengali/media/media_files/2025/04/28/BugrCE9ia4gtmQ6NM8BY.jpeg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: দেশজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে! ফরিদাবাদের আল ফালাহ হাসপাতালের চিকিৎসক ডঃ মুজ্জামিল শাকিল-কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ— তিনি এক সন্ত্রাস মডিউলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং তাঁর ভাড়া করা ঘরে বিস্ফোরক সামগ্রী মজুত রাখা হয়েছিল।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ডঃ শাকিল ফরিদাবাদের একটি বাড়িতে মাসে মাত্র ₹২৪০০ টাকায় একটি ঘর ভাড়া নিয়েছিলেন। সেই ঘরেই পরে সন্দেহভাজন বিস্ফোরক সামগ্রী উদ্ধার হয়। তদন্তকারীদের দাবি, ঘরটি ভাড়া নেওয়ার পর তিনি আর কখনও ফিরে আসেননি। ওই ঘরই এখন পুলিশের তদন্তের মূল কেন্দ্র।
সূত্রের আরও তথ্য অনুযায়ী, ঘরটি ভাড়া নেওয়ার সময় শাকিল নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন স্থানীয় চিকিৎসক হিসেবে। কিন্তু পরে পুলিশের হাতে আসে এমন কিছু তথ্য, যা সরাসরি তাঁকে একটি সক্রিয় জঙ্গি নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত করে। ইতিমধ্যেই গোয়েন্দা সংস্থা ও সন্ত্রাসদমন শাখা যৌথভাবে তদন্ত শুরু করেছে।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/08/16/arrested-123-2025-08-16-14-44-43.jpg)
পুলিশের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “এটা সাধারণ ভাড়া নেওয়ার ঘটনা নয়। এত কম টাকায় ঘর নেওয়া, তারপর সেটি ফাঁকা রেখে দেওয়া— সবটাই সন্দেহজনক। আমরা ভেতর থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান পেয়েছি।”
বর্তমানে গোটা এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। প্রশাসনের ধারণা, এই ঘরটি কোনওভাবে বিস্ফোরক সংরক্ষণের কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।
এই ঘটনায় চিকিৎসক মহলও হতবাক। আল ফালাহ হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, ডঃ মুজ্জামিল শাকিল কিছুদিন ধরেই কাজে অনুপস্থিত ছিলেন। তাঁর গ্রেফতারের পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে, “যে কেউ অপরাধে জড়িত থাকলে আইন তার কাজ করবে।”
তদন্তকারীদের মতে, এই গ্রেফতারির পর আরও কয়েকজনের নাম উঠে আসতে পারে, যাঁরা একই মডিউলের অংশ। একাধিক রাজ্যে এই নেটওয়ার্কের সূত্র খুঁজছে NIA এবং স্থানীয় পুলিশ।
ফরিদাবাদে এখন প্রশ্ন একটাই — একজন চিকিৎসক কীভাবে সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িয়ে পড়লেন?
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us