/anm-bengali/media/media_files/2025/07/28/arrested-a-2025-07-28-18-53-37.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: দিল্লির অন্দরেই চলছিল আন্তর্জাতিক অস্ত্রপাচারের ভয়ঙ্কর ব্যবসা। দীর্ঘদিন ধরে নজরদারি চালিয়ে অবশেষে যে নেটওয়ার্কের পর্দাফাঁস করল দিল্লি পুলিশ, তা যেন কোনও স্পাই থ্রিলারের কাহিনি। তদন্তকারীদের দাবি, এই চক্রের সঙ্গে সরাসরি জড়িয়ে রয়েছে পাকিস্তানের ISI। আর তাদের মাধ্যমেই চীন ও তুরস্কে তৈরি উচ্চমানের পিস্তল ঢুকছিল ভারতীয় মাটিতে।
চাঞ্চল্যকর তথ্য আরও আছে—এই বিদেশি অস্ত্র সরবরাহ করা হচ্ছিল ভারতের সবচেয়ে কুখ্যাত গ্যাং– লরেন্স বিষ্ণোই, বাম্মিহা, গোগি–হিমাংশু ভাই গ্যাং—যাদের নাম শুনলেই উত্তর ভারতের আইনশৃঙ্খলাকে শিউরে ওঠে।
অস্ত্রের চালান ঢুকত অভিনব উপায়ে। সীমান্ত পেরোত ড্রোনের মাধ্যমে, বিশেষত পাঞ্জাবের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায়। রাতের অন্ধকারে নেমে আসত ব্যাগভর্তি বিদেশি অস্ত্র, সেখান থেকে কুরিয়ারের মতো ছড়িয়ে পড়ত দিল্লি, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ সহ আশপাশের রাজ্যে।
গোয়েন্দাদের কাছে খবর পৌঁছেছিল যে রোহিণীতে আসছে এই চক্রের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরা। সেই সূত্র ধরেই রোহিণীর এলাকায় হানা দেয় দিল্লি পুলিশ। গ্রেফতার হয় চারজন—যারা পাঞ্জাব ও উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় বড়সড় অস্ত্রের চালান, যার মধ্যে রয়েছে অত্যাধুনিক পিস্তল ও অন্যান্য বিদেশি ফায়ারআর্ম।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/06/01/4WzlNfutes5F5ECjJ8Qd.jpg)
পুলিশ সূত্রের খবর, আটক ব্যক্তিরা শুধু ডেলিভারি–এজেন্টের ভূমিকা নয়, তার চেয়ে অনেক বেশি গভীরভাবে যুক্ত ছিল এই আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কে। তদন্তকারীরা এখন খুঁজে দেখছেন, এই চক্রের মূল কাণ্ডারিরা কোথায় লুকিয়ে রয়েছে, কিংবা দেশে আরও কত অস্ত্র ইতিমধ্যেই পৌঁছে গেছে গ্যাংদের হাতে।
চীন–তুরস্কের উচ্চমানের বন্দুক এবং ISI–র তত্ত্বাবধানে আন্তর্জাতিক পাচারচক্র—এই দুইয়ের মিশ্রণে দিল্লির আন্ডারওয়ার্ল্ডের ভয়াবহতা আরও বাড়ছিল। সময়মতো অভিযান চালানোয় বড় বিপদ হয়তো আপাতত এড়ানো গেল, কিন্তু তদন্ত বলছে—এই নেটওয়ার্কের শিকড় আরও গভীর।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us