মেডিকেল ইউনিভার্সিটিতে তৈরি হচ্ছিল জঙ্গি ঘাঁটি? তদন্তে উঠে আসছে ভয়ঙ্কর চিত্র

দিল্লির লালকেল্লার সামনে গাড়ি বিস্ফোরণে চাঞ্চল্য! ফরিদাবাদের আল-ফালাহ ইউনিভার্সিটির চিকিৎসক ও ছাত্রদের বিরুদ্ধে জইশ সংযোগের অভিযোগ। উদ্ধার প্রায় ২,৯০০ কেজি বিস্ফোরক, তদন্তে NIA।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
delhi blast

নিজস্ব সংবাদদাতা: দেশজুড়ে চাঞ্চল্য! দিল্লির ঐতিহাসিক লালকেল্লার ঠিক পাশেই ভয়াবহ গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনায় একে একে বেরিয়ে আসছে রুদ্ধশ্বাস তথ্য। তদন্তে এখন উঠে এসেছে ফরিদাবাদের আল-ফালাহ ইউনিভার্সিটির একদল চিকিৎসক ও ছাত্রের নাম, যাদের সঙ্গে জইশ-ই-মোহাম্মদ (Jaish-e-Mohammed)-এর মতাদর্শগত সংযোগের সন্দেহ করা হচ্ছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিস্ফোরণের দিন একটি Hyundai i20 গাড়ি পার্ক করা ছিল লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের পার্কিং এলাকায়। সেই গাড়িটিই মুহূর্তের মধ্যে আগুনে পুড়ে যায় ও আশেপাশে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। পরে তদন্তে জানা যায়, গাড়িটি চালাচ্ছিল উমর মোহাম্মদ, কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার বাসিন্দা এবং পেশায় একজন চিকিৎসক।

এই ঘটনার সূত্র ধরে পুলিশ ফরিদাবাদের আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক ভাড়া করা ঘর ও ফ্ল্যাটে হানা দেয়। সেখানে মেলে প্রায় ২,৯০০ কেজি বিস্ফোরক ও দাহ্য পদার্থ, যা দেখে স্তম্ভিত তদন্তকারীরা। এই বিশাল মজুত ঘিরে গোটা রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে জোর তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ।

al fatah

সূত্র বলছে, এই গোটা নেটওয়ার্কটি ছিল এক ধরনের “white-collar terror ecosystem”— অর্থাৎ শিক্ষিত, উচ্চপদস্থ ও পেশাজীবী মানুষদের মাধ্যমে পরিচালিত জঙ্গি চক্র। যাদের কাজ ছিল তথ্য আদানপ্রদান, অর্থ সরবরাহ, এবং পরিকল্পনা বাস্তবায়ন।

প্রাথমিকভাবে স্থানীয় পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও, ঘটনাটির গুরুত্ব ও আন্তর্জাতিক যোগের আশঙ্কায় তদন্তভার এখন NIA (National Investigation Agency)-এর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তদন্তকারীরা এখন খতিয়ে দেখছেন, কীভাবে ফরিদাবাদের এই ইউনিভার্সিটি ও মেডিকেল পেশার আড়ালে এমন একটি নেটওয়ার্ক তৈরি হয়েছিল।

এক শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “এই তদন্ত কেবল বিস্ফোরণ নয়, বরং এক বিপজ্জনক প্রবণতার ইঙ্গিত— যেখানে জঙ্গি মতাদর্শ ছড়াচ্ছে শিক্ষিত পেশাজীবীদের ভেতরে।”

দিল্লির কেন্দ্রে ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তা বাহিনী সতর্ক। মেট্রো, ঐতিহাসিক স্থাপনা ও বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নজরদারি বহুগুণে বাড়ানো হয়েছে।

এই ঘটনার পর গোটা দেশজুড়ে একটাই প্রশ্ন — চিকিৎসকেরা কীভাবে হয়ে উঠলেন জঙ্গি নেটওয়ার্কের অংশ? আর কতটা গভীরে গিয়েছে এই ভয়ঙ্কর ‘বুদ্ধিজীবী সন্ত্রাস’-এর শিকড়?