আল-ফালাহ গ্রুপের চেয়ারম্যান জওয়াদ সিদ্দিকি ১৩ দিনের ED হেফাজতে! কোটি টাকার জালিয়াতির সুতো কোথায় নিয়ে যাচ্ছে?

আল-ফালাহ গ্রুপের চেয়ারম্যান জওয়াদ আহমেদ সিদ্দিকিকে দিল্লি আদালত ১৩ দিনের ED হেফাজতে পাঠিয়েছে। মানি লন্ডারিং, ভুয়ো অ্যাক্রেডিটেশন ও তহবিল তছরুপের অভিযোগে তদন্ত জোরদার।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
breaking new 1

নিজস্ব সংবাদদাতা:  দিল্লির একটি আদালত আল-ফালাহ গ্রুপের চেয়ারম্যান জওয়াদ আহমেদ সিদ্দিকিকে তেরো দিনের জন্য এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)-এর হেফাজতে পাঠাল। মানি লন্ডারিং-সহ বহু গুরুতর অভিযোগের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেয় আদালত। বিস্তারিত রিমান্ড আদেশে বিচারকের মন্তব্য—সিদ্দিকির বিরুদ্ধে যে প্রাথমিক তথ্য ও নথি মিলেছে, তা থেকে যুক্তিযুক্ত সন্দেহই নয়, বরং স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে যে বড় ধরনের আর্থিক অপরাধে তিনি জড়িত থাকতে পারেন।

ED-এর অভিযোগ—আল-ফালাহ ইউনিভার্সিটি ও তার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে কোটি কোটি টাকা তছরুপ করা হয়েছে। ভুয়ো স্বীকৃতিপত্র ও জাল অ্যাক্রেডিটেশন দেখিয়ে ভুল পথে আনা অর্থকে নানা মাধ্যমে ঘুরিয়ে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার সুস্পষ্ট প্রমাণ তাদের হাতে আছে। তদন্তকারী কর্মকর্তাদের দাবি, ইউনিভার্সিটির নামে যে ফান্ড এসেছে, তার বড় অংশই বেআইনি খাতে বা ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য ব্যবহৃত হয়েছে।

al falaz director

মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের অধীন সিদ্দিকিকে আটক করা হয়। তদন্তে জানা গেছে, বহু চ্যানেলের মাধ্যমে টাকা বের করে দেওয়া হত, আর তৈরি করা হত এমন নথি যাতে সবকিছু আইনসম্মত বলেই মনে হয়। আদালত তাই মনে করছে যে এই আর্থিক জালিয়াতির চক্রটি খুব বড়, এবং এর পেছনে আরও অনেকের যোগ থাকতে পারে।

তদন্তে যাতে প্রমাণ নষ্ট বা প্রভাবিত না হয়, তাই সিদ্দিকিকে দীর্ঘ সময় ধরে ED হেফাজতে রাখার পক্ষেই মত দিয়েছে আদালত। ED ইতিমধ্যেই তাঁর আর্থিক লেনদেন, সম্পত্তি, নথিপত্র এবং আল-ফালাহ ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখছে।

আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও কর্মীদের মধ্যেও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। অনেকে দাবি করছেন, বহুদিন ধরে আর্থিক অনিয়মের গুজব ঘুরছিল, কিন্তু এত বড় প্রতারণা যে ঘটছে, তা ভাবতেই পারেননি কেউ।

তদন্ত চলবে আগামী দিনেও, আর ED–এর দাবি—এই রিমান্ড পর্বেই অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তাদের হাতে আসবে। জওয়াদ সিদ্দিকির জিজ্ঞাসাবাদ থেকে উঠে আসতে পারে আরও বড় চক্রের নাম।