ভুয়ো ভোটার তালিকা দিয়ে ভোট চুরি ! আপত্তির জানানোর সময় ২১ দিন করার দাবি আদিত্য ঠাকরের, বাড়াতে রাজি কমিশন

কি দাবি করলেন আদিত্য ?

author-image
Debjit Biswas
New Update
fghjm,m

নিজস্ব সংবাদদাতা : আসন্ন মুম্বাই এবং মহারাষ্ট্রের ২৯টি পৌরসভা নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকা নিয়ে গুরুতর অভিযোগ তুললেন শিবসেনা (উদ্ধব গোষ্ঠী) বিধায়ক আদিত্য ঠাকরে। আজ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের (SEC) সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি দাবি করেন, প্রকাশিত ভোটার তালিকায় অসংখ্য ত্রুটি রয়েছে এবং নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করার জন্য আপত্তির সময়সীমা ৭ দিন থেকে বাড়িয়ে ২১ দিন করতে হবে।

আদিত্য ঠাকরে দাবি করেন, ২০ নভেম্বর প্রকাশিত খসড়া ভোটার তালিকায় একাধিক সমস্যা দেখা গেছে। তিনি বলেন, তাঁদের দল যে 'ভোট চুরির' বিষয়ে তদন্ত চালাচ্ছে, তা কোনো শিক্ষাগত অনুশীলন নয়, বরং এটি একটি বাস্তব এবং গুরুতর বিষয়।

তিনি অভিযোগ করেন, ভোটার তালিকায় যে সব সমস্যা দেখা গেছে:

টেকনিক্যাল সমস্যা: প্রথমে ভোটার তালিকা ডাউনলোড করাই যাচ্ছিল না।

অনুসন্ধান সমস্যা: তালিকা বুথ-ভিত্তিক নয় এবং সার্চ করার কোনো ব্যবস্থা নেই, ফলে সাধারণ ভোটারদের নাম খুঁজে পেতে Scroll করে যেতে হচ্ছে।

ভুয়ো ভোটারের উপস্থিতি: এর আগে আদিত্য অভিযোগ করেছিলেন যে তালিকায় একই ভোটারের ডুপ্লিকেট এবং ট্রিপলিকেট এন্ট্রি, অস্তিত্বহীন নাম এবং ছোট ঠিকানায় বহু সংখ্যক ভোটারের নাম নথিবদ্ধ করা হয়েছে।

Aaditya THakll1.jpg


আদিত্য ঠাকরের মূল দাবিগুলি ছিল ভোটার তালিকা সংশোধনের প্রক্রিয়া নিয়ে। তিনি বলেন, যেখানে লক্ষ লক্ষ আপত্তি জমা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেখানে মাত্র সাত দিনের সময়সীমা যথেষ্ট নয়।

দাবি ১ (সময়সীমা): আপত্তির সময়সীমা ৭ দিন থেকে বাড়িয়ে ২১ দিন করা হোক।

কমিশনের প্রতিক্রিয়া: আদিত্য ঠাকরে জানান, নির্বাচন কমিশন এই সময় বাড়াতে পারে বলে সম্মতি দিয়েছে।

দাবি ২ (আপত্তি গ্রহণ): লক্ষ লক্ষ আপত্তি জমা পড়তে থাকায় কমিশনকে একসঙ্গে প্রচুর সংখ্যক আপত্তি (Bulk Objections) গ্রহণ করার ব্যবস্থা চালু করতে হবে।

দাবি ৩ (সংশোধন প্রক্রিয়া): ভোটার তালিকায় নাম যুক্ত করা বা সংশোধনের পুরো প্রক্রিয়াটিকে আরও উন্নত করতে হবে।

আদিত্য ঠাকরে স্পষ্ট জানিয়েছেন, যদি এই ত্রুটিপূর্ণ তালিকা নিয়ে নির্বাচন করা হয়, তবে তা নির্বাচন না হয়ে 'নির্বাচন চুরির' নামান্তর হবে।