/anm-bengali/media/media_files/qpYYDqslSv8RWI86EC0V.jpg)
File Picture
নিজস্ব সংবাদদাতা: বিহারে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে উত্তাপ বাড়ছে। তার মাঝেই জাতীয় নির্বাচন কমিশন শুক্রবার প্রকাশ করল খসড়া ভোটার তালিকা। আর তাতেই দেখা গেল, ৬৫ লক্ষের বেশি ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। যা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
এর আগে প্রথমে বলা হয়েছিল, প্রায় ৫২ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ পড়বে। পরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬১ লক্ষে। অবশেষে চূড়ান্ত খসড়া তালিকা অনুযায়ী বাদ পড়েছে ৬৫ লক্ষ ৬৪ হাজার ৯৯৫ জনের নাম। সবথেকে বেশি নাম বাদ পড়েছে রাজধানী পটনায় — প্রায় ৩.৯৫ লক্ষ। এরপর রয়েছে মধুবনী (৩.৫২ লক্ষ), পূর্ব চম্পারণ (৩.১৬ লক্ষ) এবং গোপালগঞ্জ (৩.১০ লক্ষ)।
কমিশনের দাবি অনুযায়ী, বাদ পড়ার পেছনে তিনটি প্রধান কারণ রয়েছে - ৩৬.২৮ লক্ষ ভোটার বিহারের বাইরে স্থানান্তরিত হয়েছেন বা ঠিকানায় পাওয়া যায়নি। ২২.৩৪ লক্ষ ভোটার মারা গিয়েছেন। ৭.০১ লক্ষ ভোটারের নাম একাধিকবার তালিকাভুক্ত হয়েছিল।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/GhLIsuwvsVZhThlEUVWM.webp)
জাতীয় নির্বাচন কমিশনের "স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন" (SIR) প্রক্রিয়ার আওতায় জুন মাস থেকে তালিকা পর্যালোচনা শুরু হয়। সেই সময় বিহারে মোট ৭.৯ কোটি ভোটারের নাম ছিল তালিকায়। সংশোধনের পর নাম রইল ৭.২৪ কোটিরও কিছু বেশি।
বিরোধীদের অভিযোগ, এই বাদ পড়ার ঘটনা পরিকল্পিত। তাঁদের দাবি, এনডিএকে সুবিধা পাইয়ে দিতেই ভুয়ো অজুহাতে প্রকৃত ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। এমনকি সংসদের বাদল অধিবেশনে এই ইস্যুতে সরব হয়েছেন বিরোধী সাংসদরা এবং স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠিও দিয়েছেন।
তবে কমিশন স্পষ্ট জানিয়েছে, এটি খসড়া তালিকা মাত্র। কোনও প্রকৃত ভোটারের নাম যদি ভুলক্রমে বাদ পড়ে থাকে, তাহলে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। সেই আবেদনের ভিত্তিতে নাম পুনর্ভুক্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।
আগামী বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে উত্তেজনা ও উদ্বেগ দুটোই বেড়েছে। এখন দেখার, চূড়ান্ত তালিকায় কতটা সমাধান আসে এই বিরোধের।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us