ভোরে পাহাড়ে বন্দুকের গর্জন! মণিপুরে সেনার গুলিতে খতম ৪ কুকি জঙ্গি

মণিপুরের ছুরাচাঁদপুরের কাছে সেনা ও আসাম রাইফেলসের যৌথ অভিযানে নিহত চার কুকি জঙ্গি। UKNA-র বিরুদ্ধে ধারাবাহিক হিংসার অভিযোগের পরই সংঘর্ষ। তল্লাশি চলছে।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
anipur

নিজস্ব সংবাদদাতা:  মণিপুর ফের রক্তাক্ত। ভোরের আঁধারেই বন্দুকের গর্জন, ঘন জঙ্গলে সশস্ত্র অভিযানে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত চার কুকি জঙ্গি। মঙ্গলবার ছুরাচাঁদপুরের কাছে খানপি গ্রাম—প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরের দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চল। ভারতীয় সেনা এবং আসাম রাইফেলসের যৌথ অভিযানেই শেষ এই চার UKNA সদস্যের জীবনের অধ্যায়। UKNA বা ইউনাইটেড কুকি ন্যাশনাল আর্মি—কেন্দ্র বা রাজ্যের সঙ্গে কোনও স্থায়ী চুক্তিতে নেই, বরাবরই সক্রিয় এবং আক্রমণাত্মক কুকি জঙ্গি সংগঠন।

ভোরে সেনা তল্লাশি শুরু করতেই আচমকা গুলিবর্ষণ। নিরাপত্তা বাহিনীর দাবি, বিনা প্ররোচনায় আগুন খুলেছিল জঙ্গিরা। জবাব দেয় সেনা। দীর্ঘক্ষণ লড়াই চলে কাঁটাঝোপে ঘেরা পাহাড়ি ঢালে। সেনার পাল্টা গুলিতে ঘটনাস্থলেই চার জঙ্গির মৃত্যু। সেনার আধিকারিকদের বক্তব্য, ব্যাপক অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। তা-ও পরীক্ষা করা হচ্ছে।

dead

সূত্র বলছে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এলাকায় একের পর এক রক্তাক্ত ঘটনা ঘটছিল। এক গ্রামের প্রধানকে গুলি করে খুন, স্থানীয়দের ভয় দেখানো, গ্রামে ঢুকে আতঙ্ক ছড়ানো, সীমানা দখলের চেষ্টা—সব অভিযোগ উঠছিল UKNA–র বিরুদ্ধে। প্রশাসন ও বাহিনীর নজরও ছিল ওই সশস্ত্র গোষ্ঠীর ওপর। তাই পরিকল্পিত অভিযানেই এ দিন মাটি কামড়ে পড়ে তাদের চার সশস্ত্র সদস্য।

সরকারি বিবৃতি স্পষ্ট, “এই সাফল্য দেখিয়ে দিল—নাগরিকদের নিরাপত্তা ও শান্তি ফেরাতে সেনা এবং আসাম রাইফেলস প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।” এলাকা জুড়ে এখনও কম্বিং অপারেশন চলছে। জঙ্গি আরও আছে কি না, অস্ত্রভান্ডার লুকিয়ে আছে কি না—সেই খোঁজে গভীর জঙ্গলে চলছে তল্লাশি।

মণিপুরে দীর্ঘদিন ধরেই কুকি-মেইতৈ উত্তেজনা আঁচ। অশান্ত পাহাড়ঘেরা এই রাজ্য বারবার ডুবেছে হিংসার ছায়ায়। তার মধ্যেই এই অভিযান নতুন বার্তা—সশস্ত্র জঙ্গি কার্যকলাপ সহ্য নয়। প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে—কখন মিলবে পুরোপুরি শান্তি? জঙ্গি-সন্ত্রাসের শেষ কোথায়?