দুষ্কৃতীদের গুলিতে গুরুতর আহত ২ সেনা জওয়ান

গত ৩ মে থেকে শুরু হওয়া মণিপুরে মেইতেই ও কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে সহিংসতায় ১০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। মেইতেই সম্প্রদায়কে রাজ্যে তফসিলি উপজাতির (এসটি) মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে গত ৩ মে মণিপুরে সংঘর্ষ শুরু হয়।

author-image
SWETA MITRA
New Update
manipur soldier.jpg

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ফের একবার অশান্ত হয়ে উঠেছে মণিপুর (Manipur) রাজ্য।বৃহস্পতিবার  ইম্ফল পশ্চিম জেলার এন বোলজংয়ে সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা সেনাকে (Indian Army) লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এদিকে এই ঘটনায় দুই সেনা জওয়ান আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর স্পিয়ার কর্পস। সেনা জওয়ানরা সামান্য আহত হয়েছে এবং তাদের অবস্থা স্থিতিশীল বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

এক টুইটবার্তায় স্পিয়ার কর্পস বলেছে, 'ইম্ফল পশ্চিমে বিনা প্ররোচনায় গুলি বর্ষণ করা হয়েছে। ২২ জুন সকালে ইম্ফল পশ্চিম জেলার এন বোলজংয়ে সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা হঠাতই গুলি চালায়। এদিকে পাল্টা গুলি চালায় সেনাবাহিনীর সদস্যরাও। এই গোলাগুলির ঘটনায় দুজন সেনা জওয়ান সামান্য আহত হয়েছেন, তবে দুজনের অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল।‘

প্রাথমিক তল্লাশির সময় একটি ইনসাস লাইট মেশিনগানও উদ্ধার করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আরও কিছু সেনাকে ময়দানে নামানো হয়েছে এবং অপারেশন চলছে।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৮-১৯ জুন মধ্যরাতে কান্তো সাবাল থেকে চিংমাং গ্রামের দিকে সশস্ত্র দুষ্কৃতীদের বিনা প্ররোচনায় গুলি বর্ষণে এক ভারতীয় সেনা জওয়ান আহত হন। সেইসময়ে ওই জওয়ানকে লেইমাখং সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং বর্তমানে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল।

যেহেতু মণিপুরে এখনও অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটছে, তাই রাজ্য সরকার ইন্টারনেট নিয়ে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরও পাঁচ দিন বাড়িয়ে ২৫ জুন পর্যন্ত করেছে।

গত ৩ মে থেকে শুরু হওয়া মণিপুরে মেইতেই ও কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে সহিংসতায় ১০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। মেইতেই সম্প্রদায়কে রাজ্যে তফসিলি উপজাতির (এসটি) মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে গত ৩ মে পাহাড়ে 'উপজাতি সংহতি মিছিল' আয়োজনের পর পার্বত্য জেলাগুলিতে সহিংস সংঘর্ষ শুরু হয়। এদিকে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মণিপুর সহিংসতা এবং এর ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা ও সমাধানের জন্য ২৪ জুন সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন।

এদিকে মণিপুরের সহিংসতা নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি ও দলীয় নেত্রী সোনিয়া গান্ধী। এর মাধ্যমে তিনি মণিপুরের জনগণের কাছে শান্তির আবেদন জানিয়েছেন। তিনি ওই ভিডিও বার্তায় বলেছেন, "অভূতপূর্ব সহিংসতা যা মণিপুরের মানুষের জীবনকে ধ্বংস করে দিয়েছে তা আমাদের দেশের বিবেকের উপর গভীর ক্ষত রেখে গেছে। আমি গভীরভাবে ব্যথিত হয়েছি যে লোকেরা নিজের জায়গা ছেড়ে থেকে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়েছে।“