একের পর এক আটক! ভারতীয় নথি হাতে বাংলাদেশিরা—কোথা থেকে মিলল আধার? তদন্তে বিস্ময়

বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করা অন্তত ১৭২০ জনকে গত এক সপ্তাহে ফেরত পাঠিয়েছে BSF ও পুলিশ। হাকিমপুর ও তারালি সীমান্ত দিয়ে সর্বাধিক আটক হয়। ফেরানোর আগে FIP–এ নেওয়া হচ্ছে বায়োমেট্রিক ও ফেসিয়াল ডেটা, পুলিশ যাচাই করছে অপরাধে যুক্ত কিনা।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
bangladeshi aa

নিজস্ব সংবাদদাতা: ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তে গত কয়েক দিনে নজিরবিহীন তৎপরতা। অবৈধভাবে ভারতে ঢোকার অভিযোগে অন্তত ১৭২০ বাংলাদেশি নাগরিককে ফেরত পাঠানো হয়েছে নিজ দেশে। BSF এবং রাজ্য পুলিশের উচ্চপদস্থ সূত্র জানাচ্ছে, মাত্র ৭–৮ দিনের মধ্যেই এই সংখ্যা এতটা বাড়ায় উদ্বেগ তৈরি হয়েছে প্রশাসনের মধ্যেই। সর্বাধিক অনুপ্রবেশ ধরা পড়েছে স্বরূপনগরের হাকিমপুর ও তারালি সীমান্ত দিয়ে।

প্রত্যেককে ফেরত পাঠানোর আগে তাদের নাম নথিভুক্ত করা হচ্ছে ফরেনার্স আইডেন্টিফিকেশন পোর্টাল (FIP)–এ। সেখানে নেওয়া হচ্ছে বায়োমেট্রিক, ফেসিয়াল রিকগনিশন এবং ডেমোগ্রাফিক ডেটা। সমস্ত তথ্য পাঠানো হচ্ছে সংশ্লিষ্ট জেলা পুলিশের কাছে। পুলিশ খতিয়ে দেখছে, এই মানুষগুলির মধ্যে কেউ কি ভারতে কোনও অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন? পরিষ্কার পুলিশি ছাড়পত্র না পাওয়া পর্যন্ত সীমান্ত পার হওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না কাউকে।

সবচেয়ে বড় চাঞ্চল্য তৈরি করেছে এক তথ্য—আটক হওয়া বাংলাদেশিদের মধ্যে অনেকের কাছ থেকে ভারতীয় পরিচয়পত্রও মিলেছে, যার মধ্যে আধারের মতো গুরুত্বপূর্ণ নথিও রয়েছে বলে জানা গেছে। এই তথ্য সরাসরি পাঠানো হয়েছে আধার কর্তৃপক্ষের কাছেও। তদন্তকারীরা ভাবছেন, এ কি কেবলমাত্র ব্যক্তিগত উদ্যোগ, না কি কোনও বড় জাল বা সংগঠিত চক্র কাজ করছে সীমান্ত জুড়ে?

indo bangladesh border bsf

অভিযানে যুক্ত এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “যেভাবে কয়েক দিনের মধ্যে এতজনকে ধরা পড়তে হচ্ছে, তা পরিষ্কার ইঙ্গিত দিচ্ছে যে সীমান্তপথে কোনও সক্রিয় নেটওয়ার্ক রয়েছে। আমরা প্রতিটি পরিচয়পত্র পরীক্ষা করছি।”

এদিকে, এত কম সময়ে এত বড় সংখ্যায় বাংলাদেশি নাগরিককে ফেরত পাঠানো নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দুই দেশেই। সীমান্তে নজরদারি আরও কঠোর করার নির্দেশ এসেছে উপরমহল থেকে। তদন্তকারীরা বলছেন, এই পুরো ঘটনার নিচে আরও গভীর শিকড় লুকিয়ে থাকতে পারে।

সীমান্ত ঘিরে উত্তেজনা, প্রশাসনের কড়া নজরদারি এবং রহস্যজনকভাবে ভারতীয় নথি হাতে পাওয়া বাংলাদেশিদের উপস্থিতি—সব মিলিয়ে নতুন করে ঝড় উঠেছে অভিবাসন–নিরাপত্তা নিয়ে।