ই-সিগারেটের ধোঁয়ায় অতি সূক্ষ্ম রাসায়নিক কণা থাকে। এর ফলে গলা-মুখ জ্বালা, বমি-বমি ভাব, খুসখুসে কাশি দেখা দিতে পারে। ফুসফুসে প্রদাহ থেকে ফুসফুসের ক্যানসারও দেখা দিতে পারে।

ই-সিগারেটগুলিতে ৯০০ থেকে ২০০০ রকমের রাসায়নিক ব্যবহৃত হয়ে থাকে যা ফুসফুসের অনেক গভীর পর্যন্ত চলে যায়। এর ফলে ফুসফুসের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। সিগারেটের বিপদ এড়িয়ে ধূম সেবনের সুখের আশায় ই-সিগারেট ধরেছেন অনেকেই। কিন্তু চিকিৎসকদের মতে, ই-সিগারেট ধূমপান ছাড়তে সাহায্য করে, এর কোনও প্রমাণ এখনও মেলেনি। বরং অনেক ক্ষেত্রে এর প্রভাব সাধারণ সিগারেটের চেয়েও ক্ষতিকর হতে পারে বলে সতর্ক করে দিচ্ছেন তাঁরা।

ই-সিগারেট সাধারণ সিগারেটের চেয়ে ১০ গুণ বেশি ক্ষতিকর। ওহিও ইউনিভার্সিটির টোবাকো রিসার্চ সেন্টারের গবেষণার ফলকে মাথায় রেখে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন যে ই-সিগারেট ব্যবহারের মাত্র ১ মাসের মধ্যেই তরুণদের মধ্যে বিপজ্জনক ফুসফুসের অসুখ দেখা দিতে পারে। এর থেকে যে ক্ষতি হতে পারে শরীরে তা আর কোনওভাবেই সারিয়ে তোলা সম্ভব নয় বলেই জানিয়েছেন গবেষকরা।