সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে গেলে ৭ ঘণ্টা জরুরি। এই ৭ ঘণ্টা শরীর মেরামতের সময় পায়। কোষ মেরামত হয়, পেশি পুনর্গঠিত হয়, যা আপনাকে সতেজ এবং পুনরুজ্জীবিত অনুভব করায়। পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম জ্ঞানীয় ফাংশন ও স্মৃতিশক্তি উন্নত করতেও সাহায্য করে। যে কোনও সমস্যার সমাধান করার জন্য আপনাকে যে চিন্তাভাবনা করা দরকার, সেটার জন্যও ঘুম দরকার। ঠিকমতো ঘুম না হলে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়।

পাশাপাশি আপনার ইমিউনিটি সিস্টেম ঠিকমতো কাজ করে না। আসলে বিশ্রামের অভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে। ৭ ঘণ্টা কম ঘুম হলে, শরীর সংক্রমণ ও প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রস্তুত থাকে না। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এতটাই দুর্বল হয়ে পড়ে যে, সর্দি-কাশি, জ্বর ও অন্যান্য সংক্রমণে আপনি সহজেই আক্রান্ত হয়ে পড়েন।

রাতে ৭ ঘণ্টাও যদি ঠিকমতো ঘুম না হয়, পরদিন সকাল জুড়ে ক্লান্তি থেকে যায়। কাজ করার এনার্জি পান না। সারাদিন ধরে হাই উঠতে থাকে। চোখের পাতায় ঘুম লেগে থাকে। এতে আপনার কাজকর্মেও ব্যাঘাত ঘটে। এতে কোনও চিন্তাভাবনা করার ক্ষমতা বা সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কমতে থাকে। ঘুমের অভাব আপনার মানসিক স্বাস্থ্যকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। মুড সুইংয়ের পাশাপাশি অ্যানজাইটি ও ডিপ্রেশনের মতো সমস্যা দেখা দেয়। আপনি যদি দীর্ঘদিন ধরে ঘুমের সমস্যায় ভোগেন, মানসিক রোগও দেখা দিতে পারে।