/anm-bengali/media/media_files/SP0kI9lIt2B4dqMfE6At.jpg)
ফাইল ছবি
নিজস্ব সংবাদদাতা: সাত দিন আগেই ভর্তি হয়েছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। ৩ দিন ক্লাসও করেছেন। অথচ তারপর যেন কোত্থেকে কি হয়ে গেল! একটা মৃত্যু আর একাধিক প্রশ্ন। সেই প্রশ্নের বেড়াজালে বন্দী দেশের অন্যতম নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়। সন্তান হারানো বাবা-মায়ের দাবি একটাই দোষীদের কঠোরতম শাস্তি হোক। কিন্তু সেদিন ঠিক কি ঘটেছিল? কেন এমন মর্মান্তিক পরিণতি হল স্বপ্নদীপের? এই সকল প্রশ্নের উত্তর খুঁজে চলেছে পুলিশ। আর যতই রহস্যের গভীরে প্রবেশ করছে ততোই যেন ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য।
যা জানা যাচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে তিনদিনে দু’বার হস্টেলে নিজেকে সিনিয়রদের কাছে পরিচয় করাতে হয়েছিল স্বপ্নদীপকে। কী ঘটেছিল সেই আলাপ পর্বে? কারা ছিল প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার পরিচয় পর্বে? এমন কি ঘটেছিল যার পরিণতি এত মর্মান্তিক ও ভয়ঙ্কর হল?
এও জানা যাচ্ছে, ঘটনার দিন রাত ৮টা পর্যন্ত সুস্থ-স্বাভাবিকই ছিল স্বপ্নদীপ। এরপর মেন হস্টেলের ৬৮ নম্বর ঘরে ওই ছাত্রের কাউন্সেলিং হয়। সেই কাউন্সেলিংয়ে কয়েকজন পড়ুয়ার সঙ্গে হাজির ছিলেন যাদবপুরের প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরীও। সেই সৌরভ চৌধুরীই এখন পুলিশের হাতে গ্রেফতার। তাঁর কথায় অসঙ্গতি মেলার পরই তাঁকে গতকাল পুলিশ গ্রেফতার করে। মনে করা হচ্ছে, এই ঘটনায় আরও অনেকেই জড়িত থাকতে পারে। তা ক্রমাগত তদন্ত প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে বিশেষ অদন্তকারী দল।
আরও জানা যাচ্ছে, ওই কাউন্সেলিংয়ে ডাকার পর হস্টেলের একদল সিনিয়র পড়ুয়া, সৌরভ সহ প্রাক্তনীরা স্বপ্নদীপকে উদ্দেশ্য করে অশালীন মন্তব্য ও অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করে অভব্য আচরণ শুরু করেন। রাত যত গড়িয়েছে, ততই বেড়েছে অত্যাচারের মাত্রা। এর পরেই নাকি অসহায় স্বপ্নদীপকে দেখে তাঁর পাশে এসে দাঁড়ান হস্টেলের অন্যান্য পড়ুয়ারা। এমনকি সৌরভ চৌধুরী নামক ওই যুবকই নাকি স্বপ্নদীপের অস্থিরতার খবর তাঁর বাড়িতে জানিয়েছিল। এমনটাই দাবি করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। তবে বাস্তবে তারা ঠিক কতোটা সচেতন ছিল এই বিষয়ে বা কতোটা জড়িয়ে ছিল এই ঘটনার সাথে তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। এতোটা সজাগ যদি তারা ছিলই, তাহলে কয়েকজন পড়ুয়ার সামনেই তিন তলার বারান্দা থেকে কী করে নীচে পড়ে গেল স্বপ্নদীপ? আর এবার এই সব মিসিং লিঙ্কই খুঁজছে পুলিশ।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us