নিজস্ব সংবাদদাতা: আর মাত্র কয়েকদিন। তারপর সদলবলে হাজির হবেন মা দুর্গা। আশ্বিনের শারদপ্রাতে অশুভ শক্তির বিনাশ করতে মর্ত্যলোকে আসবেন মা দুর্গা। সঙ্গে থাকবে চার সন্তান। শর্ত অনুযায়ী দেবী দুর্গার সঙ্গে পূজিত হবেন মহিষাসুরও।
তারপর ষষ্ঠীতে হবে বোধন, সপ্তমীতে নবপত্রিকা স্নান, অষ্টমীর সন্ধিপুজো, নবমীর ষড়রিপু বলির পর আসবে মা দুর্গার বিদায়ের পালা। গোটা বাংলা মেতে উঠবে শারদীয়া উৎসবের অপার আনন্দে। আলোর উৎসবে ঘুচে যাবে সকল অন্ধকার। কিন্তু, কথিত আছে মা দুর্গা জলে পরলেই অনুভূত হবে শীত। আশ্বিনের মনোরম আবহাওয়া কাটিয়ে ঘাসের ডগায় ফুটে উঠবে শিশির বিন্দু। হিমেল পরশ পড়বে প্রকৃতির গায়ে। এখন ভাদ্র মাস। ভাদ্র মাসের এই পচা গরমের মাঝে সবার মনে একটাই প্রশ্ন, এইবছর শীত পড়বে কেমন? হেমন্তকালের পরে আসে শীতকাল। কার্তিক ও অগ্রহায়ণ এই দুই মাস শীতকাল। শীতকাল মানেই শাকসবজির সমাহার, নলেন গুড়, পিঠেপুলি - হরকরকমের খাবারের সমাহার। আর খাদ্যরসিক বাঙালির পেটপুজো অসম্পূর্ণ রয়ে যাবে যদি জমিয়ে শীতটাই না পরে। কিন্তু বর্তমানে প্রকৃতির খামখেয়ালিপনায় বর্ষা বিদায় নিতে নিতেই উঁকি দিচ্ছে শীত। এবার দিল্লির মৌসমভবনের সূত্রে পাওয়া গেলো বড়ো খবর। শুনলেই বাঙালির মন প্রাণ খুশিতে ভরে উঠবে। এবার কিন্তু বাংলায় হাড়কাঁপানো ঠাণ্ডা পড়বে। শীতকাল উপভোগ করার পূর্ণ সুযোগ পাবেন বাঙালিরা। প্রশান্ত মহাসাগরে লা-নিনার প্রভাবে এই ঠাণ্ডা পড়বে। জেনে নেওয়া যাক, লা-নিনার সঙ্গে শীতকালের কি সম্পর্ক? প্রশান্ত মহাসাগরের ওপরের জলস্তর স্বাভাবিকের চেয়ে ঠান্ডা থাকলে তাকে 'লা-নিনা' বলা হয়। প্রশান্ত মহাসাগর ঠাণ্ডা হলে অর্থাৎ লা নিনা পরিস্থিতিতে ভারতে বৃষ্টির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। আর 'লা-নিনা' যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় তবে ঠাণ্ডাও পড়ে জোরদার। শুধু বাংলায় নয় সারা ভারতে ঠাণ্ডা নিজের শীতল প্রভাব জোরকদমে বৃদ্ধি করবে। পাহাড়ি অঞ্চল ঢেকে যাবে সাদা বরফের চাদরে। সেইসঙ্গে চোখ ধাঁধিয়ে দেবার জন্য উপস্থিত থাকবে কুয়াশা। সূত্রের খবর, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে নীচেই থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, পশ্চিম ভারতের পাশাপাশি বাংলাতেও 'শীতল দিন' ও 'শৈত্যপ্রবাহ' দুটিই বেশি দেখা যাবে। স্বাভাবিকের চেয়ে তাপমাত্রা ৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে গেলে তাকে 'শৈত্যপ্রবাহ' বলা হয়। বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, মালদা, উত্তর দিনাজপুর, দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলায় জাঁকিয়ে পড়বে শীত। এছাড়াও, শীতকালে বৃষ্টিপাতের পরিমাণও কম হবে বাংলায়।