/anm-bengali/media/media_files/2025/09/28/screenshot-2025-09-28-10-pm-2025-09-28-13-05-51.png)
নিজস্ব প্রতিনিধি: ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের বাকড়া গ্রামের বহুল আলোচিত জমি জালিয়াতি কাণ্ডে ফের গ্রেপ্তার হল দু’জন। শনিবার রাতে সাঁকরাইল থানার পুলিশের একটি বিশেষ টিম খড়গপুরের গোকুলপুরে অভিযান চালিয়ে ধরা পড়েছে চক্রের মূল পান্ডা সুজিত কুঙর ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী সৌরভ মাহাত। রবিবার তাঁদের ঝাড়গ্রাম আদালতে পেশ করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সাঁকরাইল ব্লকের ছোড়দা গ্রামের বাসিন্দা সুজিত কুঙর দীর্ঘদিন ধরে এই জমি কেলেঙ্কারির মূল হোতা হিসেবে সক্রিয় ছিল। প্রায় ১২৫ পরিবারের প্রায় ৪০০ একর জমি ভুয়ো কাগজপত্রের মাধ্যমে অন্যের নামে রেজিস্ট্রি করানো হয়েছিল তাঁর নেতৃত্বে। গ্রামের মানুষ বহুদিন ধরে সুজিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেও এতদিন ধরা পড়েনি। অবশেষে পুলিশের জালে পড়তেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
/anm-bengali/media/post_attachments/7101e955-46d.png)
অন্যদিকে, লোধাশুলী এলাকার বাসিন্দা সৌরভ মাহাত ভুয়ো কাগজ, নতি ও বিভিন্ন নকল নথি সংগ্রহ ও ব্যবহারের কাজে জড়িত ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, জমি কেলেঙ্কারির নেপথ্যে সে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করত। গোকুলপুর থেকেই সুজিতের সঙ্গে তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে এই মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভুয়ো উত্তরাধিকার শংসাপত্র দেখিয়ে জমি বিক্রির অভিযোগে চিড়াকুটি গ্রামের শুকরঞ্জন মাহাত, একাধিক রেভিনিউ ট্রানজেকশনে জড়িত থাকার অভিযোগে ঝাড়গ্রাম শহরের বাছুরডোবা এলাকার দেবাংশু পাহাড়ি এবং জাল কাগজপত্র রচনার মূল মাথা সঞ্জয় দাস কে পাকড়াও করা হয় বাঁকুড়া জেলা থেকে তার বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের ছেবদা গ্রামে। পুরো ঘটনার প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা আগেই জেলা রেজিস্ট্রি অফিস ও জেলা শাসকের দপ্তরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। তাঁদের দাবি, জমি ফেরত দিতে হবে এবং দ্রুত দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গোটা ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং যেই-ই জড়িত থাকুক না কেন, কাউকেই ছাড়া হবে না। পুলিশের অনুমান, তদন্ত এগোলে আরও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নাম সামনে আসতে পারে।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us