ব্যঙ্গ না কি ইঙ্গিত? The Ba***ds of Bollywood ঘিরে বিস্ফোরক বিতর্ক

শাহরুখ খান মালিকানাধীন Red Chillies Entertainment-এর ওয়েব সিরিজ The Ba***ds of Bollywood ঘিরে দিল্লি হাইকোর্টে মানহানির মামলা। সমীর ওয়াংখেড়ে অভিযোগ জানালেও প্রযোজনা সংস্থার দাবি, এটি কল্পকাহিনি ও ব্যঙ্গধর্মী সিরিজ, কর্ডেলিয়া মামলার সঙ্গে কোনও যোগ নেই।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
sameer wangkher

নিজস্ব সংবাদদাতা: বলিউডে ফের বড় আইনি ঝড়। শাহরুখ খানের প্রযোজনা সংস্থা রেড চিলিজ এন্টারটেনমেন্টের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন প্রাক্তন আইআরএস আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ে। তাঁর অভিযোগ, আরিয়ান খান পরিচালিত একটি ওয়েব সিরিজ তাঁকে ইঙ্গিত করেই তৈরি হয়েছে। এই মামলাকে কেন্দ্র করে দিল্লি হাই কোর্টে বুধবার তীব্র আইনি সওয়াল জবাব চলে।

শুনানিতে রেড চিলিজের পক্ষ থেকে জোরালো সাফাই দেওয়া হয়। সংস্থার হয়ে সওয়াল করেন প্রবীণ আইনজীবী নীরজ কিশান কৌল। তিনি আদালতে বলেন, ব্যঙ্গ ও কল্পনার সহাবস্থান আইনত সম্পূর্ণ বৈধ। বাস্তব জীবনের কিছু চরিত্র বা ঘটনার অনুপ্রেরণা থাকতেই পারে, কিন্তু তার মানে এই নয় যে কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে কোনও গল্প বলা হচ্ছে। কোথাও বিদ্বেষ বা কু-উদ্দেশ্যের প্রমাণ নেই বলেই তিনি দাবি করেন।

আইনজীবীর আরও বক্তব্য, ওই ওয়েব সিরিজ একাধিক সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয়কে কেন্দ্র করে তৈরি, এটি কোনও নির্দিষ্ট ঘটনার তথ্যচিত্র নয়। অতিসক্রিয় কিছু অফিসারের চরিত্র থেকে অনুপ্রেরণা নেওয়া হলেও সেটিকে কর্ডেলিয়া জাহাজ সংক্রান্ত ঘটনার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া সম্পূর্ণ ভুল ব্যাখ্যা বলেই দাবি করা হয়।

shah rukh khan

এই মামলার সূত্রপাত হয় দুই হাজার একুশ সালের সেই আলোড়ন তোলা ঘটনার পর। গোয়া-গামী বিলাসবহুল জাহাজে পার্টিতে হানা দিয়ে মাদক সংক্রান্ত মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল আরিয়ান খানকে। সেই অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন তৎকালীন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ে। প্রায় তিন সপ্তাহ জেলে থাকার পর আরিয়ান জামিন পান এবং পরে তদন্তে তাঁকে সম্পূর্ণ রেহাই দেওয়া হয়।

রেড চিলিজের আইনজীবী আদালতে আরও অভিযোগ করেন, ওয়েব সিরিজ মুক্তির পর থেকেই সমীর ওয়াংখেড়ে একের পর এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে এই বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করে চলেছেন, যা গোটা পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলছে।

এই বিতর্কিত ওয়েব সিরিজটি বর্তমানে একটি জনপ্রিয় ডিজিটাল মাধ্যমে সম্প্রচারিত হচ্ছে। তারকা-সন্তানের পরিচালনা, পুরনো মাদক মামলা এবং নতুন মানহানির অভিযোগ—সব মিলিয়ে এই আইনি লড়াই এখন বিনোদন জগত ও রাজনীতির এক বড় আলোচ্য বিষয়ে পরিণত হয়েছে।