নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রতিবারের মতো এবারও অনন্য ভাবনা হরিদেবপুর আদর্শ সমিতির। এবার তারা তুলে ধরবে "এপার বাংলা-ওপার বাংলা"।
এই প্রসঙ্গে আমাদের প্রতিনিধি যোগাযোগ করেছিলেন হরিদেবপুর আদর্শ সমিতির পুজো এবং ক্লাব সভাপতি তারক ব্যানার্জির সঙ্গে। তিনি জানান থিম নিয়ে বিস্তারিত। তারক বাবু জানান, "৫৬ বছর পর এবার আমরা যেটা করতে চাইছি তা হল এপার বাংলা-ওপার বাংলা। পশ্চিমবঙ্গের খানিকটা ইছামতি নদী থেকে খানিকটা বাংলাদেশ থেকে নিয়ে মিলনবন্ধনটাকে দেখাতে চাইছি। এবং রবীন্দ্রনাথের যে মূর্তি আছে সেটা এর মধ্যে রাখা হয়েছে এই জন্য যে রবীন্দ্রনাথের জাতীয় সংগীতটা দুই দেশের। ওখানে এক বিশাল রবীন্দ্রনাথের মূর্তি রাখা আছে। তার ভেতর দিয়েই ঠাকুর রাখা আছে। এভাবেই মোটামুটি করা হয়েছে। সম্পূর্ণটাই প্রাকৃতিক। ধানের গোলা রাখা আছে, ইছামতি নদী, বাংলাদেশের নৌকো, আমাদের ভারতের নৌকো সব মোটামুটি থাকবে ওখানে। বাংলাদেশের কলাগাছ রাখা আছে। এবং ওদের জীবন যাপন আর আমাদের জীবন যাপন মোটামুটি এটাকে তুলে ধরা হয়েছে"।
এবার প্রতিমাসজ্জায় রয়েছেন শুভেন্দু দাস এবং মণ্ডপসজ্জায় রয়েছেন শুভব্রত দাস। দর্শনার্থীদের সুরক্ষায় কি কি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে সেই উত্তরে তারক বাবু জানান, "আমাদের প্যান্ডেল হচ্ছে ওপেন প্যান্ডেল। প্রায় দেড় থেকে দুই বিঘা জায়গা নিয়ে ওপেন প্যান্ডেল। আমরা যেগুলো তুলে ধরেছি ঘর, ধানের গোলা, ধান খেত, ধান চাষ, কাশফুল চাষ, কাশফুল ফুটে আছে, কলা গাছের চাষ এরকম পুরোটাই মুক্ত আকাশের নিচে। ঘুরে ঘুরে দেখতে হবে। ভেতরে ধরুন ৬০-৭০ বা ১০০ জন মানুষ যদি ঢুকে যায় দেখলে সামান্য মনে হবে ওই জায়গার নিরিখে। রাস্তাটা পুরো কংক্রিট। ঢালাই করে রাস্তা করা যেহেতু হাইওয়ে দেখানো হয়েছে। ৬টা সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে। অগ্নি নির্বাপনের ব্যবস্থা থাকবে। ভলেন্টিয়ার থাকবে, সিকিউরিটি থাকবে, পুলিশ থাকবে"।
এই পুজো উদ্বোধন হচ্ছে তৃতীয়াতে।