এগরা বিস্ফোরণ : একে অপরকে দুষতে ব্যস্ত শাসক ও বিরোধী

এগরাকাণ্ড নিয়ে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করলেন শশী পাঁজা ও কুণাল ঘোষ। শশী পাঁজার দাবি, কেন্দ্রের বঞ্চনাই ঘটনার জন্য দায়ী। বাংলার ১০০ দিনের টাকা বকেয়া। তাই বাধ্য হয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের বাজি কারখানায় কাজ করতে গিয়েছিল মানুষ।

author-image
Pallabi Sanyal
New Update
kunal sasi

কুণাল ঘোষ - শশী পাঁজা

নিজস্ব সংবাদদাতা : এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডের দায় কার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না নরেন্দ্র মোদীর? ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। মূল অভিযুক্তকেও নাগালে পেয়েছে পুলিশ। তদন্তের গতি প্রকৃতি যেমনই হোক না কেন, একে অপরের ওপর দায় চাপাতে ব্যস্ত শাসক দল তৃণমূল ও বিরোধী দল বিজেপি। এগরাকাণ্ড নিয়ে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করলেন শশী পাঁজা ও কুণাল ঘোষ। শশী পাঁজার দাবি, কেন্দ্রের বঞ্চনাই ঘটনার জন্য দায়ী। বাংলার ১০০ দিনের টাকা বকেয়া। তাই বাধ্য হয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের বাজি কারখানায় কাজ করতে গিয়েছিল মানুষ।  রোজগার থাকলে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে বাজি কারখানায় কাজ করতে যেত না তারা। এদিকে, সকালেই বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল ট্যুইটে তুলোধনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর। বিজেপি নেত্রীর কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের  সরকার চাকরি দিতে ব্যর্থ। ফলে এ রাজ্যের বাসিন্দারা  আতশবাজির কারখানায় কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে যেখানে বোমা তৈরি করা হয়। যখনই বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে, তখনই মুখ্যমন্ত্রী আতশবাজি বিস্ফোরণের গল্প ফাঁদেন। এবার পাল্টা দিল তৃণমূলও। শুভেন্দু অধিকারী ও দিলীপ ঘোষকে একযোগে নিশানা করলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।  তার দাবি, এগরা দিলীপ ঘোষের সাংসদ এলাকার মধ্যে পড়ে। দায় অধিকারী ফ্যমিলিরও। কেন্দ্রের বঞ্চনার কারণেই ঘটেছে এই ঘটনা।