/anm-bengali/media/post_banners/M96vJX8FhpWYnSqlvYUB.jpg)
দ্বিগবিজয় মাহালীঃ জঙ্গলমহল জুড়ে আদিবাসী মানুষদের পুরানো রীতি হিসেবে বন্যপ্রাণী শিকারের রেওয়াজ আজও বর্তমান। সেই শিকার বন্ধে তৎপর বন দফতর ও পুলিশ। বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর সদরের চাঁদড়ার তামাকবাড়ির জঙ্গলে ছিল শিকার উৎসব। অন্যান্য বছর জেলার বাইরে থেকেও কয়েক হাজার শিকারি জমায়েত হতো। এবারে মেরে কেটে দু'শো। জমায়েত স্থানে দোকানের ভিড়ও কম এবছরও। তবে পুলিশ ও বনকর্মী মিলিয়ে ছিল দু'শোর বেশি। 14 টি স্থানে করা হয়েছিল নাকা পয়েন্ট। নজরদারিতে ছিলেন গুড়গুড়িপাল থানার ওসি শুভঙ্কর রায়, চাঁদড়া রেঞ্জের রেঞ্জার সুজিত পন্ডা। এবছর জেলার জামশোল, মৌপাল, আড়াবাড়ি সহ বিভিন্ন শিকারে দেখা গিয়েছে বিগত বছরগুলির থেকে শিকারির সংখ্যা অনেক কম। চাঁদড়ার শিকারিদের একাংশ জানান, বন দফতর ও পুলিশের লাগাতার প্রচার এবং বাধা পেয়ে বাইরের শিকারিরা আসতে চাইছে না। গাড়ির মালিকরাও গাড়ি ভাড়ায় দিতে চাইছেন না আটকের ভয়ে। স্থানীয়দের কেউ কেউ জঙ্গলে ঢুকছেন শিকারে। তারাও পুলিশ ও বনকর্মীদের টহলে বন্যপ্রাণ শিকার থেকে বিরত থাকছে। এদিন সকাল থেকে বন দফতর ও পুলিশের কড়া নজরদারিতে চাঁদড়ার জঙ্গলে বর্শা, তীর-ধনুক ইত্যাদি অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে অরণ্যের হৃদয়ে রক্তক্ষরণে পড়ল ছেদ! এই ধারাবাহিকতা চললে আগামীদিনে বন্যপ্রাণ শিকার না করে শুধুমাত্র পালিত হবে উৎসব, এমনটাই মত পশুপ্রেমীদের। চাঁদড়া রেঞ্জের আধিকারিক সুজিত পন্ডা জানিয়েছেন, দু'শোর বেশি সংখ্যক পুলিশ ও বন দফতরের কর্মীরা ছিলেন। 14 টি স্থানে নাকা পয়েন্ট করা হয়েছিল শিকারিদের আটকাতে। জঙ্গলেও টহল চলেছে। বন্যপ্রাণ হত্যা আটকানো গেছে এবং লুকিয়ে জঙ্গল পথে প্রবেশ করা শিকারির সংখ্যাও একশোর মতো। তিনি আশাবাদী লাগাতার প্রচারে আগামীদিনে বন্যপ্রাণ শিকার একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us