/anm-bengali/media/post_banners/8jikcG4QDobSX2rcY3xB.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুর: এ রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সারা ভারতবর্ষ জুড়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ রাজ্যে নির্বাচনের সময় কেন এত রক্তপাত হয়। এ রাজ্যে এত গুন্ডাগর্দি, এতো খুন কেন হয় ? এ রাজ্যের পুলিশ কেন তাড়াতাড়ি এগুলোর সমাধান করে না, সময় নিয়ে তদন্ত পড়ে থাকে এবং শেষে স্ট্যাটাস দেখায় পেন্ডিং। ব্যারাকপুরে যখন মনীশ শুক্লা খুন হয়েছিল, তাকে খুন করল কে, কিভাবে খুন হলো, তার যথাযথ উত্তর জনগণ পাননি। জনগণ যখন মানুষকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনেন, তখন জনগণের জানার অধিকার আছে। আনিস খান যে খুন হয়েছে তার বাবা আজও উদগ্রীব হয়ে বসে আছে, কিভাবে কে তার ছেলেকে খুন করল। মানুষকে জানার অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে এ রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন, শাসক দল। আজকে যেভাবে পুরুলিয়ার ঝালদায় এবং উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটিতে একই দিনে নির্বাচনে জয়ী কাউন্সিলাররা দায়িত্ব নেওয়ার আগে খুন হয়ে যায়, তার থেকে বোঝা যাচ্ছে এ রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা বলতে কিছুই নেই। পশ্চিমবঙ্গে আইনের শাসন নেই। এখানে শাসকের আইন চলছে। সোমবার মেদিনীপুর আদালতে মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে এভাবেই বিঁধলেন কেন্দ্রীয় বিজেপি মুখপাত্র তথা প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ। তিনি বলেন, এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে আগামী দিনে আইন-আদালত এর উপর থেকে মানুষের বিশ্বাস উঠে যাবে। এ রাজ্যে সর্বস্তরের মানুষের জানার অধিকার আছে যে কারা পশ্চিমবঙ্গে ঢুকছে, কারা খুন করছে, তাদেরকে পুলিশ কেন ধরছে না। যে সমস্ত পরিবার প্রচন্ডভাবে অত্যাচারিত, দুই কাউন্সিলরের পরিবার, আনিস খানের পরিবার, মনীশ শুক্লার পরিবারের জানার অধিকার আছে। যারা প্রতিনিয়ত পশ্চিমবাংলায় খুন হয়ে যাচ্ছেন তাদের পরিবারের জানার অধিকার এবং দোষীদের শাস্তির দাবি করার অধিকার রয়েছে।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us