দুর্গাপুরে টাকার বিনিময়ে বহিরাগত শ্রমিক নিয়োগ!

author-image
Harmeet
New Update
দুর্গাপুরে টাকার বিনিময়ে বহিরাগত শ্রমিক নিয়োগ!

হরি ঘোষ, দুর্গাপুর : দুর্গাপুরের বেসরকারি বেশ কিছু কারখানায় মোটা টাকা বিনিময়ে ঠিকা শ্রমিক নিয়োগ, স্থানীয়দের বঞ্চিত করা দীর্ঘদিনের অভিযোগ, এতে নাম জড়িয়েছে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন আই. এন. টি. টি. ইউ. সি র। একথা স্বীকার করে নিলেন সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্গাপুরের সগরভাঙ্গায় একটি বেসরকারি কারখানা কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলতে এসে আই. এন. টি. টি. ইউ. সি র রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানান, কোনো অনৈতিক কাজ বরদাস্ত করা হবে না, একটি কারখানায় একটি অনুমোদিত ইউনিয়ন থাকবে। আর যে দুর্নীতিতে জড়িয়ে থাকবে তার ছুটি হয়ে যাবে আই. এন. টি. টি. ইউ. সি থেকে। ঠিকা শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে শুধু বেসরকারি কারখানাই নয়, দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার মতো সংস্থা থেকেও তাদের কাছে অনিয়মের অভিযোগ জমা পড়েছে বলে স্বীকার করে নেন রাজ্য আই. এন. টি. টি. ইউ. সি র সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্গাপুরের কারখানা কর্তৃপক্ষদের সাথে কথা বলে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের সেই বার্তা পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে বলে শ্রমিক নেতা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় জানান। পাশাপাশি 6292262463 এই নম্বরে হোয়াটস্যাপ করে সংগঠনের কোনো নেতার দুর্নীতির তথ্য জানাতে পারবে বলে রাজ্য আই. এন. টি. টি. ইউ. সি র রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় জানান। সেই ক্ষেত্রে নাম পরিচয় গোপন রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে।
বিজেপি পশ্চিম বর্ধমান জেলা সাধারণ সম্পাদক অভিজিত দত্তের অভিযোগ, শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে তৃণমূল নেতাদের যে কাটমানি আর দুর্নীতির কথা আমরা এতদিন বলে আসছিলাম রাজ্য আই. এন. টি. টি. ইউ সির সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্গাপুর এসে সেই অভিযোগে সিলমোহর দিয়ে গেলেন। প্রমান করে দিলেন তৃণমূল শ্রমিক নেতাদের বিরুদ্ধে যে দুর্নীতির অভিযোগ আমরা তুলেছিলেন সেটা সত্যি।
একই ভাবে সুর চড়িয়েছে জেলা সিপিআইএম নেতৃত্ব। সিপিআইএমের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার বলেন, বিরোধীদের এতদিনকার দুর্নীতি, কাটমানির অভিযোগ মেনে নিলেন রাজ্য আই. এন. টি. টি. ইউ. সি র র সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। সাথে দাবি তোলেন রাজ্যের শাসক দলের কোটা নয় চাকরি পাবার ক্ষেত্রে যোগ্যতা হোক মাপকাঠি।
রাজ্য আই. এন. টি. টি. ইউ. সি র সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্নীতি, অনিয়মের অভিযোগের তদন্তে সশরীরে কারখানা কর্তৃপক্ষর সাথে দেখা করতে আসায় চাপে পড়েছে স্থানীয় তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্বরা। অন্যদিকে বিরোধীরাও বাড়তি রসদ পেয়েছে বলে রাজনৈতিক মহলে খবর।
রাজনীতির এই মারপ্যাঁচে আটকে পড়েছে স্থানীয় বেকাররা। তাদের দাবি, কারখানার দূষণ আমরা সহ্য করবো, জমি আমরা দেব, আর চাকরি পাবে বহিরাগতরা? এটা চলতে পারেনা।