হাবিবুর রহমান,ঢাকাঃ পৃথিবীতে পূর্ব-পশ্চিমে বিস্তৃত ৩টি রেখা কল্পনা করা হয়, সেগুলো হলো-কর্কটক্রান্তি, মকরক্রান্তি ও বিষুবরেখা। ঠিক তেমন উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত রেখা আছে ৪টি। সেগুলো হলো-শূন্য ডিগ্রি, ৯০ ডিগ্রি, ১৮০ ডিগ্রি এবং ২৭০ ডিগ্রি দ্রাঘিমা। ৪টি উত্তর-দক্ষিণ রেখা এবং ৩টি পূর্ব-পশ্চিম রেখা-সব মিলিয়ে ১২ জায়গায় ছেদ করেছে।
এই ১২টি বিন্দু হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিন্দু। ১২টি বিন্দুর ১০টি বিন্দুই পড়েছে সাগরে-মহাসাগরে, তাই মানুষ সেখানে যেতে পারে না। একটি পড়েছে সাহারা মরুভূমিতে, সেখানেও মানুষ যায় না। শুধু একটি বিন্দু পড়েছে সমতল মাটিতে, যেখানে মানুষ যেতে পারে। আর সেই বিন্দুটিই পড়েছে বাংলাদেশের ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ভাঙ্গারদিয়া গ্রামের কৃষি জমিতে।
এবার সেই কৃষি জমিতেই নির্মিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক বঙ্গবন্ধু মানমন্দির। ওই কৃষি জমির মালিক হচ্ছেন ৯ জন মুসলিম। তারা ৫ একর জমি দিয়েছে আন্তর্জাতিক বঙ্গবন্ধু মানমন্দির তৈরির জন্য। ফরিদপুরের কাছে ভাঙ্গা গুগল ম্যাপে গিয়ে 23.5N 90E লিখলে সেটি কর্কট ক্রান্তি এবং ৯০ ডিগ্রি দ্রাঘিমা কোথায় ছেদ করেছে তা দেখা যাবে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাকাশ অবলোকন কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প’ বাস্তবায়ন করবে। ২০২৪ সালের জুন মাসের মধ্যে প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রকল্পটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ২১৩ কোটি ৩৮ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। সম্পূর্ণ বাংলাদেশি অর্থায়নে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন করা হবে। ওইখানে আন্তর্জাতিক মানমন্দির’ ও পর্যটনকেন্দ্র নির্মাণ করা হলে কৃষিনির্ভর এই অঞ্চলের মানুষের জীবনমানের ব্যাপক উন্নয়ন হবে, বদলে যাবে জীবনধারা। ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটার পাশাপাশি কয়েকগুণে বেড়ে যাবে জমির দাম, যার সুফল ভোগ করবে ওই এলাকার সাধারণ মানুষ।