/anm-bengali/media/post_banners/BsdwViG4fTkIs4OdVQpF.jpg)
দিগ্বিজয় মাহালী, মেদিনীপুরঃ ২০ মাস পর স্কুল খুললেও দ্বিতীয় দিনে মানা হল না সরকারি নির্দেশিকা। নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে স্কুলে পঠনপাঠন শুরুর সিদ্ধান্তে বিতর্কে ঘাটালের এক স্কুল। স্কুল খোলার দ্বিতীয় দিনে চরম অব্যবস্থার ছবি ঘাটালের হরিনগর শ্রী শ্রী সারদা বিদ্যাপীঠ বালিকা(মাধ্যমিক)।ঘড়ির কাঁটায় সকাল ১০ টা ২৫ মিনিট,স্কুলে প্রথম আসলেন স্কুলের সহ শিক্ষকা সহ এক শিক্ষাকর্মী,আর স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী স্নিগ্ধা মান্না একই সময়ে স্কুলে আসে।দীর্ঘক্ষন পর প্রায় ১০.৪০ মিনিটে প্রাইভেট গাড়িতে করে স্কুলের গেটে এসে পৌঁছান স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। কিন্তু শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশিকা অনুযায়ী স্কুল খোলার সময় ওই শিক্ষিকাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্কুলের ক্লাস এগারোটা থেকে চালু হবে। এখানেই প্রশ্ন শিক্ষা দপ্তর যেখানে নির্দেশিকা জারি করেছে সকাল ৯.৩০ এর মধ্যে স্কুলের শিক্ষকদের আসতে হবে এবং ১০ টা থেকে স্কুলের পঠনপাঠন শুরু করতে হবে। কী করে শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশ অমান্য করে ঘাটালের হরিনগর শ্রীশ্রী বিদ্যাপীঠ বালিকা বিদ্যালয়ে এগারোটা থেকে স্কুলের পঠনপাঠনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে। সকাল ১০.৫০ নাগাদ আস্তে আস্তে করে আরও কয়েকজন শিক্ষিকা স্কুলে পৌঁছান। অপর দিকে স্কুলে ছাত্রী সংখ্যাও চোখে পড়ার মতো।স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী সংখ্যা মাত্র ৭ জন,দশম শ্রেণীর ছাত্রী সংখ্যা ৪, অর্থাৎ এই মাধ্যমিক স্কুলে নবম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ১১ জন ছাত্রী।আর পঞ্চম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত মোট স্কুলের ছাত্রী সংখ্যা ৫৪ জন।সকাল ১০.৫০ নাগাদ স্কুলের নবম শ্রেণির এক ছাত্রী ও দশম শ্রেণীর এক ছাত্রী এসে পৌঁছায়। পরে আরও কয়েকজন ছাত্রী স্কুলে পৌঁছায়।সরকারি নির্দেশিকা মেনে স্কুলের গেটে নেই কোনও সচেতনতামূলক পোস্টার ও বিধি নিষেধ।জঙ্গলে ভরে উঠেছিল স্কুল চত্বর, এখনও চলছে আগাছা পরিষ্কারের কাজ। স্কুলে শিক্ষিকাদের সময়ে আসা ও পঠন-পাঠন নিয়ে অভিযোগ তুলছেন এলাকাবাসী,দেখা দিয়েছে চরম ক্ষোভ।ঘটনার খবর পেয়ে শিক্ষা দপ্তরের এক প্রতিনিধি স্কুলে পৌঁছেছিলেন।ঘাটাল স্কুল শিক্ষা দপ্তরের এস আই সুদীপ সাহা জানিয়েছেন,গ্রামবাসীদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে তিনি প্রতিনিধি পাঠিয়েছিলেন পুরো বিষয়টি তিনি শিক্ষা দপ্তরের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত আকারে জানাচ্ছেন।দীর্ঘ দিন পর স্কুল খোলার দ্বিতীয় দিনে ঘাটালে এই স্কুলের এমন আচরণে জোর বিতর্কের ঝড়।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us