চিকিৎসকের অভাবে ধুঁকছে হাসপাতাল, চরম হয়রানির শিকার মানুষ

author-image
Harmeet
New Update
চিকিৎসকের অভাবে ধুঁকছে হাসপাতাল, চরম হয়রানির শিকার মানুষ



দিগ্বিজয় মাহালী, মেদিনীপুরঃ দীর্ঘ দু'বছর বন্ধ চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে প্রসূতি রোগীদের সিজারের পাশাপাশি জরুরি অপারেশনও। চরম হয়রানির শিকার প্রসূতি মহিলা থেকে অন্যান্য রোগীরা।

 এমনই হয়রানির ছবি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ২ ব্লকের চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালের। জেলার মধ্যে বহু পুরানো,রোগী পরিষেবা ও পরিকাঠামোর দিক দিয়ে একসময় রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে একাধিক স্বীকৃতি ও পুরষ্কার পাওয়া চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালের বর্তমানে এমনই দুর্দশা। যেখানে বর্তমানে চন্দ্রকোনা ছাড়াও গড়বেতা ও পাশের কেশপুর ব্লকের বহু গ্রামের মানুষ চিকিৎসা পরিষেবায় ভিড় জমায় ৬০ টি বেড সংখ্যা বিশিষ্ট চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে।জানা যায়, আগের তুলনায় হাসপাতালে প্রসূতি মহিলাদের চাপ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু বর্তমানে হাসপাতালে জরুরি প্রয়োজনে প্রসূতিদের সিজার বা অন্য কোনও অপারেশনের প্রয়োজন পড়লে সেই পরিষেবা ব্যাহত হয় এবং চরম হয়রানিতে পড়তে হয় রোগী ও তার পরিজনদের। হাসপাতালে প্রসূতিদের জরুরি ভিত্তিতে সিজার বা কোনও জরুরি অপারেশনে অতি অবশ্যই প্রয়োজন একজন অ্যানাসস্থিসিস্ট। কিন্তু গত প্রায় দুবছর আগে চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে একজন অ্যানাসস্থিসিষ্ট থাকলেও,তিনি স্থানান্তরিত হয়ে অন্যত্র চলে যাওয়ায় আপাতত বন্ধ সিজার ও সমস্ত পরিকাঠামো থাকলেও আটকে জরুরি অপারেশন। এই সমস্ত রোগীদের ৪০ কিমি দূরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল অথবা ২৪ কিমি দূরে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে রেফার করে দিতে হয় হাসপাতালের চিকিৎসককে।