দিগ্বিজয় মাহালী, পশ্চিম মেদিনীপুর : আবাস তালিকায় নাম আসলেও সার্ভের পর উপযুক্ত ব্যক্তিদের কেন নাম কাটা হল? গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও পঞ্চায়েত কর্মীদের কাছে গিয়ে কৈফিয়ৎ তলব তৃণমূলের বুথ সভাপতি ও গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের, উত্তেজনা এলাকায় । আবাস যোজনার তালিকা থেকে নাম বাদ যাওয়া ব্যক্তিরা বুথ সভাপতি ও গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। এমনই অভিযোগ তুলে গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে এসে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন বুথ সভাপতি ও পঞ্চায়েত সদস্যা। এমনই ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের মনোহরপুর এক গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে। জানা যায়, মনোহরপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে এসে মনোহরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেড়াবেড়িয়া বুথের পঞ্চায়েত সদস্যা রেবতী দাস ও তৃণমূলের বুথ সভাপতি কাজী বাদশা তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাদের প্রশ্ন, সঠিক ও উপযুক্ত ব্যক্তিদের তালিকায় নাম থাকলেও তাদের কেন সার্ভের পর নাম বাদ দেওয়া হল? এর প্রভাব পঞ্চায়েত ভোটে পড়বে বলেও দাবি করেন তারা। যারা নাম কেটেছে তারা কি পঞ্চায়েত ভোট করাবে? প্রশ্ন তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন তারা।এক কথায় আবাস তালিকাকে কেন্দ্র করে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে তৃণমূল পরিচালিত মনোহরপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। খোদ শাসকদলের বুথ সভাপতি ও পঞ্চায়েত সদস্যা পঞ্চায়েত দপ্তরে গিয়ে তালিকা থেকে নাম বাদ পড়া ব্যক্তিদের নিয়ে গিয়ে আবাস যোজনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ ও দপ্তরের কর্মীদের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ার ঘটনায় অস্বস্তিতে শাসকদল। যদিও এবিষয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্মান সহায়ক কমলকান্ত কারফার জানিয়েছেন, 'আবাস যোজনার সার্ভে আশাকর্মী, পুলিশ থেকে মহকুমা প্রশাসনের আধিকারিকরাও এসে খতিয়ে দেখছেন। তারা ব্লক এবং জেলায় গিয়েছেন। সেখান থেকে ফাইনাল তালিকা তৈরি হয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতে এসেছে সেটাই আমরা দপ্তরে টাঙিয়েছি, আমরা নিজে থেকে কারও নাম বাদ দিইনি।'