নাবালিকার বিয়ে রুখল পুলিশ, পাত্র ও পুরোহিতের জেল হেফাজত

author-image
Harmeet
New Update
নাবালিকার বিয়ে রুখল পুলিশ, পাত্র ও পুরোহিতের জেল হেফাজত
দিগ্বিজয় মাহালী, মেদিনীপুরঃ নাবালিকাকে বিয়ে দেওয়ার অপরাধ। একেবারে বিয়ের আসর থেকে গ্রেফতার করা হল পাত্র ও পুরোহিতকে। উদ্ধার করা হল নাবালিকা পাত্রীকে।

ঘাটাল আদালত চত্বরে উপচে পড়া ভিড়, তার কারণ আদালতে আনা হয়েছে কনে সাজে পাত্রী ও বর সাজে পাত্রকে। তাদের সাথে আনা হয়েছে পুরোহিতকে। আদালত কী রায় দেয় সেটাই জানার জন্য আদালত চত্বরে উপস্থিত জনতার ছিল আগ্রহ। শেষ পর্যন্ত ঘাটাল মহকুমা আদালত রায় দিল- পাত্র ও পুরোহিতের ১৪ দিনের জেল হেফাজত। নাবালিকা মেয়েকে পাঠানো হল তার বাবা-মায়ের কাছে।

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল থানার অফিসার ইনচার্জ দেবাংশু ভৌমিকের কাছে খবর পৌঁছায়, মনসুকা গ্রাম পঞ্চায়েতের বরকতিপুর বাসিন্দা সুজিত মন্ডলের বাড়িতে এক নাবালিকা মেয়ের বিয়ে হচ্ছে। খবর জানতে পেরে দৌড়ে যায় পুলিশ। পুলিশ গিয়ে বুঝতে পারে ১৫ বছরের এক নাবালিকা মেয়ের বিয়ে। আর পুলিশ দেখেই রাতের অন্ধকারে দৌড়ে পালিয়ে যায় বিয়ের আসরে থাকা উপস্থিত সকলেই। কিন্তু পালাতে পারেনি ১৫ বছরের নাবালিকা, পাত্র সুরেন্দ্র দলুই, ব্রাহ্মণ স্বপন চক্রবর্তী। পুলিশ রাতেই তাদের আটক করে নিয়ে যায় ঘাটাল থানায়।

পুলিশ সূত্রে খবর, ১৫ বছরের ওই নাবালিকা খানাকুল থানা তাঁতিশাল গ্রামের বাসিন্দা। আর পাত্র সুরেন্দ্র দলুই (২৬) খানাকুল থানার পাঁচকুঠুরি গ্রামের বাসিন্দা। তাদের আত্মীয়, ঘাটালের বরকতিপুর গ্রামের সুজিত মন্ডলের বাড়িতে রাতের অন্ধকারে নাবালিকার মেয়ের গোপনভাবে বিয়ের আসর বসিয়েছিলেন। পুলিশ পৌঁছে ভেস্তে দিল নাবালিকা মেয়ের বিয়ে। যদিও ঘাটাল থানার অফিসার ইনচার্জ দেবাংশু ভৌমিক জানান, অভিযুক্তদের আজ ঘাটাল আদালতে তোলা হলে আদালত পাত্র সুরেন্দ্র, পুরোহিত স্বপন চক্রবর্তীর ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। যদিও পুলিশ সূত্রে খবর, একাধিকবার নাবালিকা মেয়ের বিয়ে বন্ধের জন্য সচেতন মূলক প্রচার চালানো হয়েছে। কিন্তু কেউ কর্ণপাত করেনি। পরবর্তীকালে পুলিশ আরো কঠোর আইন প্রয়োগ করবে নাবালিকা মেয়ের বিয়ে দেওয়ার অপরাধে।