সুমিত ঘোষ হালদার, চাঁচোল : সারা বছর দেবীর নামাঙ্কিত সম্পত্তির ফসল বিক্রয়ে পূজিতা হন উত্তর সিংহ পাড়ার চতুর্ভূজা চণ্ডী। তবে এই পুজো প্রায় ২০০ বছরেরও পুরনো। চাঁচল রাজা শরৎচন্দ্র রায় চৌধুরীর হাত ধরে এই পুজো শুরু হয়েছিল। বর্তমানে নেই রাজা, নেই তার রাজত্ব। এই পুজোর হাল ধরেছে গ্রামের মানুষ। গ্রামের এক কোণে বটগাছ লাগাওয়া মন্দিরে পূজিতা হন মা চুতুর্ভূজা চণ্ডী। সপ্তমী থেকে দশমী টানা চার দিন ধরে চলে পুজোপাঠ। নবমীর দিন রয়েছে পাঠাবলির রীতি।
দশভূজা নন, এ দেবী চতুর্ভূজা৷ চণ্ডী রূপে আদ্যাশক্তির আরাধনা হয়। সপ্তমীতে শুরু হয় মায়ের বাৎসরিক পুজো৷ চলে দশমী পর্যন্ত৷ পুরোহিতের মন্ত্রোচ্চারণে গমগম করে ওঠে গোটা চত্বর৷ মহানবমীতে ছাগবলি প্রথা চালু রয়েছে এখানে৷ ২০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে পুজোর রীতি অপরিবর্তিত৷মালদহের চাঁচল সদর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে ভাকরী গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে রয়েছে উত্তর হারো হাজরা গ্রাম। সেই গ্রামের এক কোণে বটগাছ লাগাওয়া মন্দিরে পুজিত হন মা চুতুর্ভূজা চণ্ডী৷ মহাসপ্তমীতে শুরু হয় মায়ের বাৎসরিক পুজো৷ চলে দশমী পর্যন্ত৷ দেবীর নামে থাকা সম্পত্তির ফসল বিক্রি করেই এই পুজোর আয়োজন করা হয়৷ এলাকার সাত থেকে সত্তরের মনে গেঁথে রয়েছে মহামায়ার চতুর্ভূজার রূপ। এই পুজোকে ঘিরে প্রায় ছ’টি গ্রামের মানুষ আনন্দে মেতে ওঠেন৷ সপ্তমী থেকে দশমী, চারদিন মহা ধুমধামের সহিত চতুর্ভূজা চণ্ডীর পুজো হয়। নবমীতে ছাগবলিতে তৃপ্ত হন মা৷ দশমীর গোধূলি লগ্নে মন্দির লাগোয়া চণ্ডীদিঘীতে দেবী মূর্তির বিসর্জন দেওয়া হয়। বছরের পর বছর এটাই এই পুজোর প্রথা৷ এখনও তা অবিচ্ছিন্ন।