/anm-bengali/media/post_banners/tHBdzQoXozEPrjcYMUWt.jpg)
দেবাশিস বিশ্বাস, কোচবিহার: গত ১০ এপ্রিল বিধানসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফা ভোটের দিন শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রের আমতলী এমএসকে সেন্টারে সিআইএসএফ এর গুলিতে ৪ জন নিহত হয়। তারপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাথাভাঙ্গা এসে বলে গেছেন সরকার গঠনের পর সিআইডি তদন্ত করা হবে। সরকার গঠন হয়েছে, এবার ধাপে ধাপে ১০ এপ্রিলের গুলি কাণ্ডে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী যারা পুলিশ আধিকারিক ছিলেন তাদেরকে ভবানী ভবনে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। সিএসএফের আধিকারিক সহ জওয়ানদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চিঠি পাঠানো হয়। কিন্তু তারা হাজিরা দেননি। অবশেষে সোমবার ভবানী ভবন থেকে ডিআইজি সিআইডি স্পেশাল কল্যাণ মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি দল ৫/১২৬ নম্বর বুথের এসে ঘটনার পুনঃ নির্মাণ শুরু করেন। সেখানে মাথাভাঙ্গা থানার পুলিশের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন মাথাভাঙ্গা মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সুরজিৎ মন্ডল, মাথাভাঙ্গা থানার আইসি বিশ্বা শ্রয় সরকার প্রমুখ।
এদিন ঘটনার সাক্ষী যারা ছিলেন তাদেরকে ডেকে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তাছাড়া ভূমি সংস্কারের আধিকারিকদের নিয়ে এসে ও ঘটনার দিন নিহত হওয়া দেহগুলো কোথায় পড়েছিল কিভাবে ঘটনা ঘটেছিল তা মাপ যোগ করেন আমিন এর মাধ্যম দিয়ে। এদিন এই সেটি তদন্তের পুনঃনির্মাণের ব্যাপারে এলাকার মানুষ এর। করোনা আবহে লকডাউন চলছে তাই এলাকার মানুষকে ওই বিদ্যালয়ের অর্থাৎ আমতলী এমএসকে সেন্টারে আশপাশে লক্ষ্য করা যায়নি। এদিন প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করাছিল। বিদ্যালয়ের চারপাশ পুলিশ দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। এবং দড়ি দিয়ে বাউন্ডারি তৈরি করে ফেলা হয়েছে।
পুনঃনির্মাণে মাঝে সিআইডি স্পেশাল কল্যাণ মুখার্জি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘১০ এপ্রিল এর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন চার সদস্যের একটি টিম আমরা এখানে তদন্ত করতে এসছি, তদন্ত ধীরে ধীরে এগোচ্ছে। এখনই তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সমস্ত কিছু বলা সম্ভব হবে না।’ এ প্রশ্নের উত্তরে কল্যাণ মুখার্জি বলেন, প্রয়োজন হলে তাদেরকে আবার ডেকে নেওয়া হবে।কেন্দ্রীয় বাহিনী ভবানী ভবনে হাজিরা না দেওয়ার বিষয়টি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর এলাকার মানুষ প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন কেন তারা হাজিরা দেন নি?
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us