দীর্ঘদিনের অব্যবহৃত জঙ্গলাকীর্ণ স্থান পরিবর্তিত হয়ে হতে চলেছে এক ঝাঁ-চকচকে পার্ক

author-image
Harmeet
New Update
দীর্ঘদিনের অব্যবহৃত জঙ্গলাকীর্ণ স্থান পরিবর্তিত হয়ে হতে চলেছে এক ঝাঁ-চকচকে পার্ক

হরি ঘোষঃ বাম আমলে দুই নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে ডিভিসি মোড় হয়ে দুর্গাপুর শহরে ঢোকার মুখে প্রাণকেন্দ্র সিটি সেন্টারে ১৯ একর জমি রীতিমতো জঙ্গলে পরিপূর্ণ হয়েছিল। এলাকায় বস্তি গড়ে ওঠায় সেই জঙ্গলে শুরু হয় শুয়োরের চাষ। শহরে ঢোকার মুখে এরকম নোংরা জায়গা নিয়ে শহরবাসীর মধ্যে নানা অভিযোগ ছিল। তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর বারবার এই জঙ্গলাকীর্ণ জায়গা নিয়ে নানান বৈঠক হয়েছে। কিন্তু যথাযথ কোনও সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায়নি। তবে এর মধ্যেই এই জমির অপর দিকে গড়ে ওঠে মুখ্যমন্ত্রীর থাকার সার্কিট হাউস, গড়ে ওঠে মহকুমা শাসকের বাংলো এবং গড়ে ওঠে মহকুমা প্রশাসনের নানান কার্যালয়ের ভবন। এর পরেই টনক নড়ে আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের। একদিকে ঝাঁ-চকচকে সার্কিট হাউস সহ অন্যান্য সরকারি অফিস ও এসডিও বাংলা অন্যদিকে এই ১৯ একর জঙ্গলাকীর্ণ জায়গা এবং অবাধে শুয়োরের বিচরণভূমি।  তাই শেষ পর্যন্ত আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ সিদ্ধান্ত নেয় এখানে পার্ক গড়ে তোলার। যেখানে থাকবে সকলের ভ্রমণের জায়গা, বসার জায়গা সহ নানান সুযোগ সুবিধা। তারই ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করলেন আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় ও  দুর্গাপুর পূর্বের বিধায়ক প্রদীপ মজুমদার। এছাড়াও ছিলেন ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। যার প্রচেষ্টায় এই কাজটি সম্পন্ন হল, ছিলেন সেই বিশিষ্ট আইনজীবী দেবব্রত সাঁই। এই ১৯ একর জায়গা ঘিরে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে আজ থেকেই। এরফলে খুশি এলাকাবাসী।